Onlooker desk: কেন্দ্রীয় ভাবে টিকা সংগ্রহ করে বিকেন্দ্রীভূত ভাবে তার প্রয়োগ ঘটিয়ে মানুষকে কোভিডের পরবর্তী ঢেউ থেকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে আজ, বুধবার দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। করোনা অতিমারীকে স্বাধীনতার পরে দেশের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে উল্লেখ করেছেন তিনি। পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে সার্থক করে সব রাজ্যকে এ ব্যাপারে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে কথা বলার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ ক’জন মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন তিনি। কেন্দ্রের সঙ্গে চূড়ান্ত সংঘাতের এই সময়ে নবীনের চিঠির বক্তব্যে সায় জানিয়েছেন মমতা। এ দিন মমতা নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘রাজ্যগুলিকে টিকা দেওয়া উচিত কেন্দ্রের। রাজ্য সরকারের জন্য টিকা সংগ্রহ করাও কেন্দ্রেরই দায়িত্ব। গোটা দেশের বাসিন্দাদের টিকা দেওয়ার জন্য বিনামূল্যে প্রত্যেক রাজ্যকে ভ্যাকসিন দিক কেন্দ্র। এ ব্যাপারে আমি, নবীন পট্টনায়েক, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী, অরবিন্দ (দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল) সবাই একমত।’
চিঠিতে নবীন লিখেছেন — টিকাকরণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ শুরু করা না-গেলে কোনও রাজ্যই নিরাপদ নয়। প্রসঙ্গত, দেশে টিকার অভাব মেটাতে অনেক রাজ্য আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে টেন্ডার ডাকার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনও রাজ্যের সঙ্গে চুক্তিতে যেতে রাজি নয় সংস্থাগুলি। এ ব্যাপারে সরাসরি কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে চায় তারা।
সেই সূত্র টেনে ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন —আন্তর্জাতিক টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি যে কেন্দ্রের ছাড়পত্র ও প্রতিশ্রুতির চাইছে, সেটা পরিষ্কার। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে চুক্তিতে রাজি নয় তারা। আর দেশীয় সংস্থাগুলির কাছে জোগান দেওয়ার মতো পর্যান্ত টিকা নেই। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, কেন্দ্রীয় ভাবে টিকা জোগান করেরাজ্যগুলির মধ্যে তা বণ্টন করে দেওয়া। টিকাকরণের পদ্ধতি বিকেন্দ্রীভূত হওয়া দরকার এবং সেটা রাজ্যগুলির হাতেই ছাড়া ঠিক হবে বলে মনে করেন নবীন। মঙ্গলবারই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ১১টি অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়ে টিকা সংগ্রহের জন্য কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়াতে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন।
টিকাকরণে রাজ্যগুলিকে একজোট হওয়ার ডাক নবীনের, মমতাকে ফোন
