Onlooker desk: নোভাভ্যাক্সের কোভিড টিকা করোনার বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। করোনার নানা ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে এই টিকা ভালো কাজ করে সোমবার জানিয়েছে প্রস্তুতকারক সংস্থা। আমেরিকায় একটি বড় মাপের সমীক্ষার পর এই সিদ্দান্তে উপনীত হয়েছে তারা। ভারতে নোভাভ্যাক্স টিকা তৈরি করবে সিরাম ইনস্টিটিউট। আদতে এই ভ্যাকসিন মেরিল্যান্ডের একটি সংস্থার তৈরি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এ বছরের তৃতীয়ার্ধে বিভিন্ন দেসের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অনুমতির জন্য আবেদন জানাবে তারা। বিবৃতি জারি করে তাদের দাবি — মাঝারি থেকে জটিল অসুস্থতায় এই টিকা ১০০ শতাংশ প্রতিরোধ তৈরিতে সাহায্য করে। আর সামগ্রিক ভাবে তা ৯০.৪ শতাংশ কার্যকর। আমেরিকা ও মেক্সিকোর ১১৯টি জায়গায় ২৯ হাজার ৯৬০ জনের উপরে সমীক্ষা চালিয়ে টিকার কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও ইউমিউনিটি তৈরির ক্ষমতা যাচাই করে দেখা হয়েছে। তাতেই ওই ফল উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ বছরের তৃতীয়ার্ধের মধ্যে মাসে ১০ কোটি টিকার ডোজ তৈরি করতে পারবে তারা। আর বছর শেষের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ কোটি।
নোভাভ্যাক্সের প্রেসিডেন্ট এবং চিফ এগজিকিউটিভ স্ট্যানলি সি আর্ক বলেন, ‘বিশ্বজোড়া অতিমারীর সময়ে টিকাকরণের লক্ষ্যে নোভাভ্যাক্স আজ এক কদম এগিয়ে গেল। আমরা যত দ্রুত সম্ভব টিকার ছাড়পত্রের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে আবেদন জানাব। এই টিকার কার্যকারিতা প্রমামিত। এখনও গোচা পৃথিবীতেই ভ্যাকসিনের যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব নোভাভ্যাক্স টিকা নিয়ে আসার চেষ্টা করছি আমরা।’ কিছু ধনী দেশ নাগরিকদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে অনেকখানি এগিয়ে গেলেও বেশির ভাগ দরিদ্র দেশই এখনও এই ক্ষেত্রে বেশ পিছিয়ে। পৃথিবীর সাতটি ধনীতম দেশ বা জি৭ অর্থাৎ কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ইংল্যান্ড ও আমেরিকার সঙ্গে বাকি দরিদ্র দেশগুলির টিকাকরণের ফারাক অত্যন্ত প্রকট। বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, জি৭-এর প্রতি ৭৩ জনে দরিদ্র দেশের ১ জন টিকা পাচ্ছেন। এই তুলনা থেকেই পরিষ্কার, ভ্যাকসিনেশনের নিরিখে দেশগুলি একে অন্যের চেয়ে কতখানি পিছিয়ে রয়েছে। কাজেই টিকাকরণে জোর এবং আরও বেশি টিকা উৎপাদন ছাড়া এই ফারাক ঘোচানো যে সম্ভব নয়, সেটা পরিষ্কার। সেই লক্ষ্যে রবিবারই জি৭ বৈঠকে টিকায় পেটেন্ট তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নোভাভ্যাক্সের টিকাটির পোশাকি নাম এনভিএক্স-কোভ২৩৭৩। অন্য অনেক টিকার মতো এটিকে খুব অল্প তাপমাত্রায় রাখার মতো কোনও ব্যাপার নেই। প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা হলেই সেটি ঠিক থাকছে। অন্তত তত্ত্বগত ভাবে এর অর্থ হলো, এই টিকা সহজে এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যাবে। যে সব দেশে স্বাস্থ্য কাঠামো খুব উন্নত নয়, সেখানেও তার প্রয়োগ ঘটানো সম্ভব হবে।
৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর নোভাভ্যাক্স টিকা, ভারতে তৈরি করবে সিরাম
