Onlooker desk: গত আড়াই মাসে সর্বনিম্ন দৈনিক করোনা সংক্রমণের হদিস মিলল দেশে। মঙ্গলবার গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রামিত (covid infection) হয়েছেন ৬০ হাজার ৪৭১ জন। মারা গিয়েছেন ২,৭২৬ জন। এই নিয়ে গত আটদিন দেশের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১ লক্ষের কম। দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেহাল স্বাস্থ্য কাঠামোর জেরে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছনোর পর তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি রাখছে বিভিন্ন রাজ্য।
গত ৭ মে কোভিডের দৈনিক করোনা সংক্রমণ (covid infection) দেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। সেদিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লক্ষ ১৪ হাজার মানুষ। আর আজকের সংক্রমণ গত ৩১ মার্চের পর সর্বনিম্ন। পজিটিভিটি রেট গত ক’দিন ধরেই পাঁচের নীচে ছিল। এ দিন তা কমে চারের নীচে নেমেছে। মঙ্গলবার পজিটিভিটি রেট ছিল ৩.৯৫ শতাংশ।
টিকাকরণের ক্ষেত্রেও কিছু ভালো খবর রয়েছে। যেমন নোভাভ্যাক্স জানিয়েছে, তাদের টিকা করোনার বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশেরও বেশি কার্যকর। প্রস্তুতকারক সংস্থাটি বিবৃতিতে সোমবার জানিয়েছে, মাঝারি থেকে বেশি সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই টিকা সামগ্রিক ভাবে ৯০.৪ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ রেখেছে। ভারতে এই টিকা তৈরি করবে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। অর্থাৎ যে সংস্থা কোভিশিল্ড বানাচ্ছে।
সংক্রমণের সংখ্যা কমে যাওয়ায় দিল্লি, হরিয়ানা-সহ বেশ কিছু রাজ্য বিধিনিষেধে ছাড় দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য আরও দু’সপ্তাহ বিধিনিষেধ জারি থাকছে। তবে শর্ত মেনে অফিস, রেস্তোরাঁ, শপিং মল, দোকান ইত্যাদি খোলায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাস-লোকাল ট্রেন-মেট্রো বন্ধই। তা হলে মানুষ যাতায়াত করবে কী করে সে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যবাসী। এর সদুত্তর মেলেনি। পশ্চিমবঙ্গে সোমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৫১৯। মৃত ৭৮।
দেশে এখনও সবচেয়ে বেশি কেস লোড মুম্বইয়ে। সোমবার মহারাষ্ট্রের দৈনিক করোনা সংক্রমণ (covid infection) ৮,১২৯, গত তিন মাসে সর্বনিম্ন। রাজ্যে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর এই প্রথম ধারাভিতেও নতুন করে কোনও কেস পাওয়া যায়নি।
এ দিকে, ভারতে প্রথম খোঁজ মেলা ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে বিভিন্ন দেশে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন এই ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে কার্যকর। ইংল্যান্ডের পাবলিক হেলথ জানিয়েছে, টিকার দু’টি ডোজ নেওয়া থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন অনেকটা কমে। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার দু’টি ডোজে এই নিরাপত্তা ৯২ শতাংশ।
দেশে এ পর্যন্ত ২৫ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। বছর শেষের মধ্যে ১০৮ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সোমবার কেন্দ্র জানিয়েছে, তিন দিনের মধ্যে টিকার ৯৬ হাজার ৪৯০ ডোজ দেওয়া হবে রাজ্যগুলিকে।
৭৫ দিনে সবচেয়ে কম দৈনিক সংক্রমণ, এবার কমলো মৃত্যুর সংখ্যাও
