Onlooker desk: ভারতে আইনি রক্ষাকবচ হারাল টুইটার (Twitter)। নতুন ডিজিটাল নিয়ম তারা মানেনি। সে কারণে ব্যবহারকারীদের টুইটের জন্য দায়ী করা হলো সংস্থাকে। এই সূত্রে প্রথম মামলাটি দায়ের করা হয়েছে টুইটারের (Twitter) বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশে সম্প্রতি এক মুসলিম বৃদ্ধকে মারধরের সূত্রে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে কিছু টুইট ধর্মীয় হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছে বলে অভিযোগ। এই এফআইআরে নাম জড়িয়েছে সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাদেরও।
গত ২৫ মে নতুন ডিজিটাল নিয়ম জারি করা হয়। ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রের খবর, তার সবক’টি এখনও মানেনি টুইটার (Twitter)। যার জেরে তাদের আইনি রক্ষাকবচ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যে কোনও প্রকাশকের মতোই ভারতীয় আইনভঙ্গে দায়ী হতে পারে তারা। এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম টুইটার (Twitter)।
গত ৫ জুন গাজিয়াবাদের লোনিতে এক মুসলিম বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার সূত্রে মঙ্গলবার রাতে একটি এফআইআর হয়। সেখানে থার্ড পার্টি হিসাবে অভিযুক্ত টুইটার (Twitter)। ওই ঘটনার সূত্রে ‘মিথ্যা’ টুইট না-সরানোর অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।
ওই বৃদ্ধের নাম সুফি আব্দুল সামাদ। অভিযোগ, তাঁর দাড়ি কেটে নেওয়া হয়। তাঁকে ‘বন্দেমাতরম’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হয়। একদল লোক বেধড়ক মারধর করে তাকে। কিন্তু পুলিশের দাবি, বৃদ্ধ মিথ্যা বলছেন। হিন্দু ও মুসলিম মিলিয়ে জনাছয়েক ব্যক্তি তাঁকে আক্রমণ করেন। তিনি কিছু তাবিজ বিক্রি করেছিলেন। সেগুলি ভুয়ো বলে ওই দলটির অভিযোগ। এবং তার জেরেই রেগে গিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়।
পুলিশের এফআইআরে টুইটার (Twitter) ছাড়াও বেশ ক’জন সাংবাদিক এবং কংগ্রেস নেতার নাম রয়েছে। ওই ব্যক্তির অভিযোগ শেয়ার করে তাঁরা ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে’ আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ। ইচ্ছে করে ধর্মীয় উস্কানি দিতেই এমন সব পোস্ট বলে পুলিশের দাবি। সেই সূত্রেই তারা জানিয়েছে, গত ১৪ জুন রাতে টুইটারকে বিস্তারিত ভাবে সে কথা জানানো হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও টুইটগুলি মোছা হয়নি।
এফআইআরে টুইটার (Twitter) ছাড়াও নাম রয়েছে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’-এর। অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা সলমান নিজামি, ডঃ শামা মহম্মদ এবং মকসুর উসমানি। সাংবাদিক মহম্মদু জুবেইর, রাণা আয়ুব এবং লেখিকা সাবা নাকভির নামও রয়েছে।
টুইটারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। ঘটনাচক্রে সে জন্য টুইটারকেই ব্যবহার করেন তিনি। পাশাপাশি পোস্ট দেন তার ভারতীয় সংস্করণ কু। তাঁর দাবি, টুইটার (Twitter) ইচ্ছে করে সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত নিয়ম মানেনি।
গাজিয়াবাদে বৃদ্ধকে মারধরের টুইট ঘিরে এফআইআর টুইটার-সহ একাধিক সংবাদিকের নামে
