Onlooker desk: ডমিনিকার জেলে বন্দি পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসিকে দেশে ফেরাতে সেখানে গিয়েছে তদন্তকারীদেইয়ের দল। যার নেতৃত্বে এক মহিলা। ২০০৫-এর আইপিএস সারদা রাউতই চোকসি ও তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদীর ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক দুর্নীতির তদন্তকারী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। ডমিনিকার কোর্ট চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণে সায় দিলে যে প্রাইভেট জেটে তদন্তকারী দলটি সেখানে পৌঁছেছে, সেই বিমানেই তাঁকে ফেরানো হবে। সারদার জন্ম মহারাষ্ট্রের নাসিকে। অতীতে পালঘর, নাগপুর, মীরা রোড, কোলাপুর-সহ নানা জেলায় পুলিশ সুপারের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। নিজের দক্ষতায় বরাবরই নজর কেড়েছেন, পেয়েছেন সম্মানও।
সারদা-সহ সিবিআইয়ের সাতজনের দল ডমিনিকা পৌঁছেছে। সেখানে সিবিআইয়ের আরও এক অফিসার আছেন। সূত্রের খবর, ডমিনিকা প্রশাসনের সঙ্গে দলটির একাধিক বৈঠক হয়েছে যাতে শুনানিতে ভারতের মামলার প্রসঙ্গ জোরালো ভাবে ওঠে। এরই মধ্যে আবার চোকসিকে অপহরণের তত্ত্বে সিলমোহর দেওয়ার জন্য ডমিনিকার বিরোধী দলগুলিকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ওই ভাই-ও প্রতারণায় অভিযুক্ত। কিন্তু সে সবে বিশেষ লাভ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপে অভিযুক্ত চোকসির অপরাধমূলক কাজকর্ম, তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ এবং কোন কোন বিচারে তাঁকে ভারতে ফেরানো যেতে পারে, নথিপত্র-সহ জোরালো ভাবে ডমিনিকার কোর্টে সে প্রসঙ্গ তুলে ধরা হবে বলে একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। ডমিনিকার জেলে বন্দি ওই ব্যক্তি যে ২০১৮ থেকে ভারতে অভিযুক্ত ও ফেরার এবং ইন্টারপোলের রেড নোটিসে অবিলম্বে তাঁকে প্রত্যর্পণ করা দরকার, তা বলা হবে আদালতে।
চোকসি ২০১৭-য় অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব পেলেও কোনওদিনই ভারতের সিটিজেনশিপ ছাড়েননি এবং এখনও তিনি ভারতেরই নাগরিক বলে জানাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং সিবিআই। গত ২৩ মে অ্যান্টিগা থেকে সন্দেহজনক ভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে যান চোকসি। একদিনের মাথায় বেআইনি ভাবে ডমিনিকায় ঢোকার জন্য গ্রেপ্তার হন। তার আগে অ্যান্টিগা প্রশাসনের তৎপরতায় তাঁর নামে ইন্টারপোলের ইয়েলো নোটিসও জারি হয়।
চোকসিকে ফেরাতে ডমিনিকায় ভারতীয় তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে এক মহিলা, কে তিনি?

আইপিএস সারদা রাউতের নেতৃত্বেই ডমিনিকা গিয়েছে তদন্তকারী দল