Onlooker desk: পদত্যাগ করলেন কর্নাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। রাজ্য বিধানসভায় এই ঘোষণা করতে গিয়ে সোমবার ভেঙে পড়েন প্রবীণ নেতা। রাজ্য বিজেপির একাংশের অসন্তোষের জেরে অবশেষে সরতেই হল বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে (Yediyurappa)।
চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত দু’বছরে যথেষ্ট ডামাডোল গিয়েছে। এ দিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ইয়েদুরাপ্পা (Yediyurappa)। তিনি বলেন, ‘আমি মধ্যাহ্নভোজের পরেই ইস্তফা দেব।’ ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগ একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। ইয়েদুরাপ্পা নিজেও সে দিকে ইঙ্গিত করেন। অবশেষে সোমবার ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন তিনি।
এ দিন বক্তব্যের শুরুতেই ইয়েদুরাপ্পা জানান, অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। কর্নাটকের (Karnataka) সঙ্গেই থেকেছেন। তাঁর কথায়, ‘কর্নাটকে বিজেপি শক্তিবৃদ্ধি করেছে। আমাকে সব সময়ই কোনও না কোনও অগ্নিপরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। গত দু’বছর তা কোভিডের আকার নিয়েছে।’
রবিবার ইয়েদুরাপ্পার (Yediyurappa) কথাতেই পরিষ্কার হয় যে তাঁর প্রস্থান সময়ের অপেক্ষা। রবি-সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে বিজেপির তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি তাঁকে। সোমবার ছিল তাঁর সরকারের দু’বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। সেখানে এই সরকারের সাফল্যের কথা জানানো হবে। তারপরেই বাকি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
ইয়েদুরাপ্পা সে দিন বলেন, ‘আমি একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করে যাব বলে স্থির করেছি। দু’মাস আগেই বলেছি যে যখন বলা হবে, আমি পদত্যাগ করব। পদ না থাকলে দলের জন্য কাজ করব।’
ইয়েদুরাপ্পা ও তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে নানা অসন্তোষ তৈরি হয়েইছিল। তাতে ঘৃতাহুতি হয় এ মাসের গোড়ায় ইয়েদুরাপ্পার দিল্লিযাত্রায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির অন্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চার্টার্ড বিমানে করে দিল্লি যান তিনি।
মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর ইয়েদুরাপ্পা (Yediyurappa) জানিয়েছিলেন, তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয়নি। তার ক’দিন বাদেই জানান, যখন বলা হবে, তিনি পদ ছেড়ে দেবেন।
দক্ষিণ ভারতে ইয়েদুরাপ্পাই বিজেপির একমাত্র এবং প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯-এ জনতা দল সেকুলার-কংগ্রেস জোটের সরকার ছেড়ে বেরিয়ে যান ১৮ জন বিধায়ক। তাতে সরকারের পতন ঘটে। এঁরা সকলেই পরে বিজেপিতে যোগ দেন। ইয়েদুরাপ্পার (BS Yedurappa) মন্ত্রিসভাতেও স্থান পান।
কিন্তু বিভিন্ন গোষ্ঠীর অসন্তোষ তিনি কখনই মেটাতে পারেননি। অনেক বিধায়কেরই অভিযোগ, ছেলে বিজয়েন্দ্র প্রত্যেক দপ্তরে ছড়ি ঘোরান। ইয়েদুরাপ্পার প্রশ্রয়েই তা হয়।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।