Onlooker desk: গত ২ এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণের হদিস মিলল দেশে। রবিবার ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮০ হাজার ৮৩৪ জনের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তবে মৃত্যু তিন হাজারের উপরেই। একদিনে মারা গিয়েছেন ৩,৩০৩ জন। পজিটিভিটি রেট লাগাতার কমছেই। এ দিন প্রতি ১০০ জনে সংক্রামিত হওয়ার হার বা পজিটিভিটি রেট ৪.২৫ শতাংশ। একদিনে ৫৪ হাজার ৫৩১টি অ্যাক্টিভ কেস কমেছে। গত ৩১ দিন ধরেই দৈনিক করোনামুক্তির সংখ্যা নতুন আক্রান্তকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
দেশে একদিনে সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে সেই তামিলনাড়ু (১৫,১০৮), তার পরে কেরালা (১৩,৮৩২) এবং মহারাষ্ট্র (১০,৬৯৭)। পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু অবস্থা অনেক ভালো। শনিবার আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ৪,২৮৬ জন। মারা গিয়েছেন ৮১ জন।
শনিবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত মূল সরঞ্জামগুলির উপরে কর কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ওষুধপত্র, হাসপাতালের সামগ্রী-সহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে। করোনার টিকায় অবশ্য ৫ শতাংশ করের সিদ্ধান্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।
এ বছর জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে দু’লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন দেশে। ওই সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সঙ্কট দেখা দেয়। এখন জানা যাচ্ছে, সেই সময়ে যে পরিসংখ্যান সামনে আনা হয়েছিল, বাস্তবে তার তুলনায় অনেক বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত ও মারা যান ওই সময়ে। সিবিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের একটি তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে ওই পাঁচ মাসে প্রাক্ করোনা পর্বের তুলনায় গড়ে তিন গুণের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। সরকারি তথ্যে প্রকাশ করা হয়েছে তার মাত্র একটা অংশ। দিনকয়েক আগেই বিহারে করোনায় মৃতের সংখ্যা সংশোধন করায় দেখা গিয়েছে একদিনে ৭২ শতাংশ বেশি মৃত্যুর হিসাব মিলেছে। বিহারের এই তথ্য ‘আপডেট’ করার ফলে সে দিন ভারতে দৈনিক মৃত্যু গিয়ে দাঁড়ায় ৬,১৪৮-এ।
একটি রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, দেশে করোনায় মৃতের যে সংখ্যা দেখানো হচ্চে, আদতে তার তুলনায় পাঁচ থেকে সাত গুণ বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক অবশ্য শনিবার এই দাবি খারিজ করেছে।
শনিবারই ডি-৭ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিডের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রযুক্তিতে ট্রিপস ওয়েভারের প্রস্তাবে বাকিদের সমর্থন চান। ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখার সময় অন্যান্য রাষ্ট্রকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদও জানান মোদী।
সংক্রমণ আরও কমল, তবে একদিনে মৃত্যু ৩ হাজারের উপরেই
