Onlooker desk: দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমশ তীব্রতা হারাচ্ছে। গত দু’মাসে সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণের হদিস মিলল রবিবার। এ দিন ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৬০ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৬৭৭। দেশে মোটে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ১৫ লক্ষের আশপাশে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৭৭ হাজারেরও বেশি কমেছে বলে খবর।
পরিস্থিতি অনেকখানি স্বস্তিদায়ক পশ্চিমবঙ্গেও। শনিবার দৈনিক সংক্রমণ নেমেছে ৮ হাজারের নীচে। সে দিন ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭,৬৮২ জন। তবে মৃত্যু হয়েছে শতাধিকের, সংখ্যাটা ১১৮।
গত ৮ মে দেশে করোনায় মোট সংক্রামিতের সংখ্যা ছিল ৩৭ লক্ষ। এক একদিনে ৪ লক্ষেরও বেশি সংক্রমণের হদিস মিলেছে। একদিনে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। প্রায় প্রতিদিনই আগের রেকর্ড ভেঙে সংক্রমণের নতুন উচ্চতা স্পর্শ করে সেই এপ্রিল থেকে আতঙ্ক তৈরি করেছিল দ্বিতীয় ঢেউ। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। সে জায়গা থেকে এক মাসের মধ্যে অনেকখানি স্বস্তিদায়ক জায়গায় পৌঁছনো গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রবিবার যে ২,৬৭৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে, তাঁদের ৭০ ভাগেরই কো-মর্বিডিটি ছিল বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
মহারাষ্ট্র ও দিল্লি, কিছুদিন আগেও দেশের যে দু’টি রাজ্য করোনায় উদ্বেগের অন্যতম কারণ হয়েছিল, সেখানে পরিস্থিতি অনেকটা ভালো। গত ১৫ মার্চের পর শনিবার দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ সবচেয়ে কম — ৪১৪। এই পরিস্থিতিতে কাল, সোমবার সেখানে শর্তসাপেক্ষে আনলক শুরু হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও ভালো হলে শর্তও শিথিল করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কাল পাঁচ ভাগে আনলক শুরু করছে মহারাষ্ট্রও।
দেশে দু’মাসে সর্বনিম্ন সংক্রমণ, আশা দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গও
