Onlooker desk: নতুন করে ৯১ হাজার ৭০২টি কোভিড সংক্রমণ ও ৩ হাজার ৪০৩টি মৃত্যুর হদিস মিলল দেশে। সংক্রমণ কমলেও মৃত্যু তো কমেইনি। উল্টে বেশ কিছুদিন বাদে সাড়ে তিন হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় বেড়েছে উদ্বেগ। এর মধ্যে কিছুটা আশার কথা হলো, গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাকরণ হয়েছে ৩২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬৭২ জনের। যার হাত ধরে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৪৬ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৪৯ জনের টিকাকরণ হলো দেশজুড়ে।
মৃত্যু বাড়লেও পজিটিভিটির হার কমছে। গত চারদিন তা ৫ শতাংশের নীচে। শুক্রবারের পজিটিভিটি রেট ৪.৪৮ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে দেশে এখন সবার উপরে রয়েছে তামিলনাড়ু (১৬,৮১৩), কেরালা (১৪,৪২৪), মহারাষ্ট্র (১২,২০৭) এবং কর্নাটক (১১,০৪২)। কর্নাটকে লকডাউন এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২১ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে যে সব জেলায় পজিটিভিটি রেট ১৫ শতাংশের কম সেখানে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
এ দিকে, দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে থাকলেও টিকাকরণের নিরিখে সবচেয়ে নীচের দিকে থাকা পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ু। এ পর্যন্ত রাজ্যের ৭ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ৯ শতাংশকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। এই তালিকার বাকি চার রাজ্য হলো উত্তর প্রদেশ, অসম, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড।
কোভিড মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ও তাদের কাজকর্মের খতিয়ান নিতে বৃহস্পতিবার পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রিভিউ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সরকারি সূত্রের খবর, এ রকম সাতটি মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রতিটি মন্ত্রকই সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন দেয়।
পাশাপাশি ইংল্যান্ড এবং ভারতের বিজ্ঞানীরা যৌথ ভাবে একটি স্বল্পমূল্যের সেন্সর তৈরি করেছেন, যা নিকাশির জলে কোভিড-১৯ ভাইরাসের কণা চিহ্নিত করতে পারে। এর মাধ্যমে অনেকটা এলাকাজুড়ে রোগের বিস্তার বোঝা চিকিৎসকদের পক্ষে সহজ হবে।
রামদেব আবার অ্যালোপ্যাথি বনাম আয়ুর্বেদ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্কের পর হঠাৎ ডিগবাজি খেয়ে জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা ‘ঈশ্বরের দূত’। এবং তিনি শীঘ্রই করোনার টিকা নেবেন।
অন্যদিকে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, করোনার মারাত্মক অর্থনৈতিক প্রভাব কাটাতে সরকারি প্রকল্পে গরিব মানুষকে ১০০ থেকে ১৫০ দিনের কাজ দিতে হবে। না হলে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা কঠিন।
পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য অবস্থা আগের তুলনায় অনেকটা ভালো। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৭৪ জন। মারা গিয়েছেন ৮৭ জন। তবে উদ্বেগ বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা কমায়। বাংলায় বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়েছঠেন ৫১৭০ জন, যা তার আগের দিনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
দেশে সংক্রমণ হ্রাসেও কমছে না মৃত্যু, বঙ্গে চিন্তা রোগমুক্তির সংখ্যা
