Onlooker desk: গতকালের চেয়ে তুলনায় ১২ শতাংশ কমে আজ, সোমবার দেশে দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ ৬ হাজারে দাঁড়াল। মৃত ২,৪২৭ জন। রবিবার তার আগের ২৪ ঘণ্টায় সংক্রামিতের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৪ হাজার। পজিটিভিটির হার, অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনে কতজনের রিপোর্ট পজিটিভ, সেই হার এখন ৬.৩৩ শতাংশ। যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক ছবি পশ্চিমবঙ্গেও। রবিবার এই রাজ্যে একদিনে সংক্রামিত হয়েছেন ৭ হাজার ২ জন, মৃত ১০৭। টেস্ট হয়েছে ৭০ হাজারেরও বেশি। তবে আক্রান্তের সংখ্যা যতই কমুক না কেন মাস্ক পরা, যতদূর সম্ভব দূরত্ব-বিধি মেনে চলা এবং স্যানিটাইজার বা সাবানের ব্যবহার বজায় রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কারণ এই স্বস্তি কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে জোরালো প্রশ্ন রয়েছে। কারণ বিশেষজ্ঞদের অনুমান, শীঘ্রই আছড়ে পড়তে চলেছে তৃতীয় ঢেউ। যেখানে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিশুরা। সে কারণে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য কোভ্যাক্সিনের ফেজ ২ ও ফেজ ৩ ট্রায়ালে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাটনা এইমসে তা শুরুও হয়ে গিয়েছে। আজ শুরু হচ্ছে দিল্লি এইমসে।
তবে টিকার জোগান এখনও কম। দিল্লিতে কোভ্যাক্সিনের অভাবের কারণে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলিকে কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দিতে নিষেধ করেছে সরকার। ভ্যাকসিন পাবেন কেবল দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকরা।
শর্তসাপেক্ষে আজ আনলক শুরু হচ্ছে দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো কোভিডে প্রবল বিপর্যস্ত হয়ে পড়া রাজ্যে। সেখানে এখন পরিস্থিতি অনেকখানি স্বাভাবিক। কড়াকড়িতে শিথিলতার কথা জানিয়েছে উত্তর প্রদেশও। সেখানকার ৭১টি জেলায় কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে সপ্তাহে পাঁচদিন খোলা থাকবে দোকান।
তবে হরিয়ানা, সিকিম, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ এবং গোয়ায় করোনা কার্ফুর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত।
কমে এ বার লাখের কাছাকাছি দৈনিক সংক্রমণ, স্বস্তির মধ্যেও সতর্কতা
