Onlooker desk: রামদেবের বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে তাদের এই পদক্ষেপ। নিজের মন্তব্যের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে যোগ গুরুর কাছে ১ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি চাওয়া হবে বলে আইএমএ জানিয়েছে।
সংগঠনের সম্পাদক অজয় খান্না তাঁর আইনজীবীদের মাধ্যমে ছ’পাতার যে নোটিস পাঠিয়েছেন, সেখানে রামদেবের মন্তব্যকে অ্যালোপ্যাথির ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর ও অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকদের জন্য অবমাননাকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে সংগঠনের হাজার দুয়েক সদস্যের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রামদেবের মন্তব্যকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্ট’ বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়োর মাধ্যমে অ্যালোপ্যাথির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার মতো ভিডিয়ো তিনি আপলোড করেছিলেন, সেই প্ল্যাটফর্মেই নিজের আগে বক্তব্যগুলি খারিজ করে পাল্টা ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আইএমএ।
রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি করোনার ওষুধ বলে দাবি করে করোনিল কিট এনেছিল। প্রথমে রামদেবের দাবি ছিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এই ওষুধে অড়ুমোদন দিয়েছে। পরে হু নিজেই বিবৃতি দিয়ে জানায়, এমন কোনও অনুমোদন তারা দেয়নি। সেই করোনিল কিট সম্পর্কে ভুল বার্তাবাহী বিজ্ঞাপনও রামদেবকে প্রত্যাহার করতে হবে বলে দাবি তুলেছে আইএমএ। না হলে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হবে।
গত রবিবার অ্যালোপ্যাথি নিয়ে রামদেবের বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক বাধে। করোনার চিকিৎসায় যেখানে শ’য়ে শ’য়ে চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন, সে জায়গায় অ্যালোপ্যাথি চিকৎসা নিয়েই গুরুতর প্রশ্ন তোলেন রামদেব। এ নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের চিঠির জেরে মন্তব্য প্রত্যাহার করেন রামদেব।
কিন্তু বিতর্কে ইতি টানেননি।
আইএমএ-র উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখে যে সব অসুখ অ্যালোপ্যাথিতে পুরোপুরি নিরাময় হয় না, সেগুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কার্যত খোঁচা দেন। টুউটে আইএমএ-কে পাল্টা নিশানা করেন তাঁর ঘনিষ্ঠ আচার্য বালকৃষ্ণও।
রামদেবের বিরুদ্ধে হাজার কোটির মানহানির মামলা আইএমএ-র
