Onlooker desk: তেহলকা পত্রিকার প্রতিষ্ঠা তরুণ তেজপালকে ধর্ষণের মামলায় মুক্তি দিল গোয়ারআদালত। ২০১৩–য় গোয়ারই একটি পাঁচতারা রিসর্টে এক সহকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিলতেজপালের বিরুদ্ধে। ২০১৭–য় ট্রায়াল কোর্টে ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা, বলপূর্বক আটকে রাখার দায়ে দোষীসাব্যস্ত হন এই সাংবাদিক। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট গোয়াতেইমামলা চালানোর নির্দেশ দেয়।
শুক্রবার মুক্তির পর তরুণের হয়ে বিবৃতি পাঠ করেন তাঁর কন্যা কারা। সেখানে তেজপালের বিরুদ্ধে‘মিথ্যে অভিযোগ আনা’র উল্লেখ করে বলা হয় — সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণেরভিত্তিতে এই আদালত যে সত্যনিষ্ঠ, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ বিচার করেছে, সে জন্য তাকে সসম্মান ধন্যবাদ।কোভিডে মৃত তাঁর আইনজীবী রাজীব গোমসকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তরুণ। এই মিথ্যে অভিযোগেরজন্য গত সাড়ে সাত বছর তাঁর পরিবার ব্যক্তিগত, পেশাগত ও সামাজিক ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর সময় কাটিয়েছেবলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
মুক্তি অবশ্য আগেই পেতেন তিনি। কিন্তু কখনও করোনা, কখনও ঝড়–সহ নানা কারণে বারবার পিছিয়েগিয়েছে রায়দান।
তেহলকার এই ঘটনা অভিযোগকারিণীর একাধিক ই–মেলের সূত্রে বাইরে আসে। অভিযোগ ও তারজবাবে পত্রিকার সিনিয়রদের উত্তর ‘লিক’ হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়। তরুণ তেজপালেরমতো প্রথিতযশা, অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন তরুণ। ২০১৩–র নভেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।২০১৪–র মে মাসে জামিনে মুক্ত হন। সেই থেকে জামিনেই ছিলেন। বারবারই সিসিটিভি ফুটেজ–সহ অন্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বম্বে হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদনওজানিয়েছিলেন।কিন্তু সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। অবশেষে সব লড়াই শেষে মিললমুক্তি।