Onlooker desk: পলাতক ‘হীরক রাজ’ মেহুল চোকসি এ বার নিখোঁজ হয়ে গেলেন ক্যারিবিয় দ্বীপ অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুদা থেকে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা শোধ না করে ২০১৮-য় অ্যান্টিগায় পালিয়েছিলেন চোকসি। তারপর থেকে বছর ৬১-র এই ব্যবসায়ীকে খুঁজছে সিবিআই এবং ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মঙ্গলবার সকালে সংবাদমাধ্যমে তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবরে সিলমোহর দেন ঋণখেলাপি ব্যবসায়ীর আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল। পরিবার তাঁকে খুঁজছে। পাশাপাশি তল্লাশি চালাচ্ছে অ্যান্টিগার পুলিশও।
সিবিআই সূত্রের খবর, চোকসির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর তাদের এখনও জানানো হয়নি। বিষয়টি সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছেন তাঁরা। ভারতে অ্যান্টিগা দূতাবাসে চিঠি লিখে খবরের সত্যাসত্য যাচাই করে এ সংক্রান্ত আরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
একটি সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, সোমবার রাতে দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে একটি রেস্তোরাঁয় নৈশভোজ সারতে বেরিয়েছিলেন পলাতক এই অভিযুক্ত। তারপর থেকে আর তাঁর হদিস নেই। পরে তাঁর গাড়িটি উদ্ধার হয়।
ভারতে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াই লড়ছেন চোকসি। বর্তমানে তিনি অ্যান্টিগারই নাগরিক। গত বছর অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন জানিয়েছিলেন, আইনি সমস্ত সুবিধার মেয়াদ শেষ হলেই তাঁর নাগরিকত্ব খারিজ করা হবে। ‘অর্থনৈতিক অপরাধেস জড়িত অপরাধীদের’ তাঁর দেশ আশ্রয় দেবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ব্রাউন। আইনি সুবিধা শেষেই যে চোকসিকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে, তা-ও জানিয়েছিলেন তিনি।
এখানেই উঠে আসছে তাঁর কিউবা-যাত্রার কথা। বিপদ আঁচ করে ওই লাতিন আমেরিকান দেশে পালিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিউবার সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই।
মার্চেই কিছু সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, অ্যান্টিগার একটি সিভিল কোর্ট তার নাগরিকত্ব খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু সেই সময়ে চোকসির আইনজীবী এই খবর উড়িয়ে জানান, ঋণখেলাপি ব্যবসায়ী অ্যান্টিগার নাগরিক হিসাবেই রয়েছেন। চোকসি নিজে আবার অতীতে সাক্ষাৎকারে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি। চোকসির আত্মীয়, বছর ৫০-এর গয়না ব্যবসায়ী নীরব মোদীও কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করে ভারত ছেড়ে ইংল্যান্ডে পালিয়েছেন। তাঁর প্রত্যর্পণে ইংল্যান্ড সরকার সবুজ সঙ্কেত দিলেবাস্তবে তা হতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। যেমনটা বিজয় মালিয়ার ক্ষেত্রে হচ্ছে।
অ্যান্টিগায় নিখোঁজ ভারতে ১৪ হাজার কোটি ঋণখেলাপি মেহুল চোকসি
