Onlooker desk: বৃহস্পতিবার রাত তখন পৌনে আটটার আশপাশে। ছোট্ট আধা ইয়াসিরের বাবা-মায়ের কানে পৌঁছয় তীক্ষ্ণ চিৎকার।
জম্মু কাশ্মীরের বুদগামের চার বছরের মেয়েটা বাড়ির লনে খেলা করছিল। ওমপোরা হাউজিং কলোনির বাড়িতেই ছিলেন মা-বাবা। হঠাৎ চিৎকার শুনে দৌড়ে বেরোন তারা। মেয়ে কোথায়? এখানেই তো খেলছিল। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও কোত্থাও না পেয়ে পড়শিদের জানান বিষয়টা। সকলে মিলে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেন। ঘণ্টাখানেক বাদে শিশুটির গলার হার ও চটি পাওয়া যায় কাছেই জঙ্গলের ধার থেকে। এহসান ফজলি নামে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘তখন আমাদের সন্দেহ প্রায় বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে — ছোট্ট মেয়েটাকে নিশ্চয়ই নিয়ে গিয়েছে জঙ্গলের চিতাবাঘ। এমনটা তো এখানে হামেশা হয়ে থাকে।’ শুক্রবার সকালে দেখা গেল, বিশ্বাসই ঠিক ছিল। বাড়ির এক কিলোমিটার দূরত্বে ইয়াসিরের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বুদগামের সিনিয়র পুলিশ সুপার তাহির সেলিম বলেন, ‘মেয়েটির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দারা ও বন দপ্তরের কর্মীরা মিলে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করেন। শেষ পর্যম্ত ফরেস্ট নার্সারির কাছে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। সম্ভবত চিতাবাঘের হানাতেই এমন ঘটনা ঘটেছে।’
এলাকায় নার্সারির আশপাশে বড় বড় গাছ কেটে জঙ্গল পরিষ্কার করায় বন দপ্তর উদ্যোগী না-হওয়ায় এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও রাজনীতিকরা। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে বলে অভিযোগ।
ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয়, তা নিশ্চিত করতে বুদগামের ডেপুটি কমিশনার শাবাজ মির্জা পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। ওমপোরা ও আশপাশের এলাকায় বনজঙ্গল সাফ করার সিদ্ধান্ত হয় সেখানে। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এলাকায় শীঘ্রই ফেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। ইয়াসিরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে প্রশাসনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
জম্মু-কাশ্মীরে চার বছরের শিশুকন্যাকে ছিঁড়ে খেল চিতাবাঘ
