Onlooker desk: ধর্মঘটী জুনিয়র ডাক্তারদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। তা মানা তো দূর, উল্টে ৩০০০ চিকিৎসক পদত্যাগ করে জানিয়েছেন, ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাবেন তাঁরা। গত চারদিন ধরে তাঁরা যে ধর্মঘট করছেন, তাকে ‘বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।
তার পরেই রাজ্যের ছ’টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের হাজার তিনেক চিকিৎসক বৃহস্পতিবার তাঁদের পদ থেকে ইস্তফা দেন বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরবিন্দ মীনা। দাবি মেটা পর্যন্ত গত সোমবার শুরু হওয়া তাঁদের ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কারও করোনা হলে বিনামূল্যে চিকিৎসা, স্টাইপেন্ডের অঙ্ক বাড়ানো-সহ নানা দাবি তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অরবিন্দ জানান, ইতিমধ্যেই তাঁদের পিজি তৃতীয় বর্ষের এনরোলমেন্ট বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। তাই তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। তাঁর দাবি, মেডিক্যাল অফিসারসদের এবং রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠনও তাঁদের এই দাবিগুলিকে সমর্থন জানিয়ে সামিল হচ্ছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য থেকে সমর্থন মিলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জুনিয়র ডাক্তারদের রাজ্যজোড়া ধর্মঘটকে বেআইনি বলে চিহ্নিত করে আজ, শুক্রবার দুপুর আড়াইটের মধ্যে সকলকে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি মহম্মদ রফিক আহমেদ এবং বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, নির্দেশ মেনে যদি জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে না ফেরেন তা হলে সরকার যেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়। এমন একটি সঙ্কটের সময়ে জুনিয়র ডাক্তারদের এই ধর্মঘটের নিন্দা করে হাইকোর্ট। কোনও ভাবেই তা মেনে নেওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করা হয়।
এর মধ্যে ভোপালে মধ্যপ্রদেশের মেডিক্যাল এডুকেশন কমিশনার নিশান্ত ওয়ারওয়াদে জানান, চিকিৎসা শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বাস সারং বহুবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে একাধিক ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছেন। স্টাইপেন্ড ১৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে এবং তা শীঘ্রই কার্যকর হবে। পরে তা আরও বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন নিশান্ত।
মানলেন না হাইকোর্টের নির্দেশ, করোনাকালে মধ্যপ্রদেশে ইস্তফা ৩০০০ চিকিৎসকের
