Onlooker desk: সোমবার সংখ্যাটা পৌঁছেছিল ৮৮ লক্ষে। মঙ্গলবার এক ধাক্কায় সেটাই কমে হলো ৫৩.৮৬ লক্ষ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা অনুযায়ী নতুন টিকা নীতি শুরু হয়েছে সোমবার। সে দিন দেশজুড়ে ৮৮ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়। মোদী টুইটে অভিনন্দনও জানান। কিন্তু মঙ্গলবারই তা কমে দাঁড়াল ৫৩.৮৬ লক্ষে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এই বিপুল টিকাকরণ কি আদৌ সম্ভব? প্রসঙ্গত, সব ১৮ ঊর্ধ্বর টিকাকরণ শুরু করেনি পশ্চিমবঙ্গ। কারণ হিসাবে জানায়, কেন্দ্র পর্যাপ্ত টিকা দেয়নি। সোমবার মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান সেই বক্তব্যেই অনেকখানি শিলমোহর দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
টিকাকরণ এক ধাক্কায় ৩০ লক্ষেরও বেশি কমে যাওয়ার পিছনে অপর্যাপ্ত জোগানই দায়ী। আবার মধ্যপ্রদেশ-সহ কিছু রাজ্য বেআইনি ভাবে ভ্যাকসিন মজুত করেছে বলে অভিযোগ। সোমবার ‘ম্যাজিক মানডে’ করবে বলে দীর্ঘদিন ধরে তারা টিকা জমিয়েছে বলে খবর। গতকাল, সোমবার যে ১০টি রাজ্যে সবচেয়ে বেশি টিকা দেওয়া হয়, তার সাতটিই বিজেপিশাসিত।
এ বছরের মধ্যে সকল ১৮ ঊর্ধ্বকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রের। তা পূরণ করতে হলে দিনে ৯৭ লক্ষ ডোজ দিতে হবে। কিন্তু সেই টার্গেটে কি পৌঁছনো যাবে? জোগানে খামতির সূত্রে এই প্রশ্ন উঠছে। যদিও সরকারের দাবি, মজুত ও টিকাদানের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে তাদের। সরকার দিনে ১ কোটি মানুষটে টিকা দিতে চায়। এমনটাই দাবি ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন-এর চেয়ারম্যান ডঃ এন কে অরোরার। তিনি বলেন, ‘দিনে ১.২৫ কোটি টিকা মজুতের ক্ষমতা রয়েছে আমাদের।’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের দাবি, রাজ্যগুলির সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করছে কেন্দ্র। তাঁর কথায়, ‘আমরা রাজ্যগুলিকে আগাম জানিয়ে দিই। আগামী ১৫ দিনে তারা কত টিকা পাবে, সেটা আগেই জানানো থাকে। যাতে রাজ্যগুলি সেই মতো পরিকল্পনা করতে পারে।’
কিন্তু এতকিছুর পরেও জোগানে খামতির বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া যাচ্ছে না। যেমন মধ্যপ্রদেশে। সোমবার ওই রাজ্যে ১৭ লক্ষ টিকা দিয়ে রেকর্ড গড়া হয়েছে। আর আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার ডোজ। গত ১৫ জুন সেখানে ৩৭ হাজার ৯০৪টি টিকা দেওয়া হয়। রবিবার সেটাই তলানিতে নেমে হয় ৪,০৯৮। অথচ সোমবার ‘ডি-ডে’ তে ১৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৯২ ডোজ টিকা দেওয়া হয় মধ্যপ্রদেশে। যার সূত্রে স্বাভাবিক ভাবেই মজুতদারির প্রশ্ন উঠছে। অথচ রাজ্য সরকারের দাবি, কোনও মজুতদারি হয়নি।
সোমবারের ৮৮ মঙ্গলবার কমে দাঁড়াল ৫৩ লক্ষে, প্রশ্নে দেশের টিকানীতি
