Onlooker desk: প্রার্থীদের কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড (Criminal Record) থাকলে তা নাম বাছাইয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। রাজনীতি থেকে অপরাধের গন্ধ মুছতে এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে এ কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
পাশাপাশি, বিধায়ক বা সাংসদদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টের অনুমোদন ছাড়া খারিজ করা যাবে না। রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতার অপব্যবহার রুখতে এই নির্দেশও দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
বিহার নির্বাচনের সূত্রে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে একটি রুলিং দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সে সময়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল, প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের (Criminal Record) কথা হয় নাম বাছাইয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে। না হলে মনোনয়ন দাখিল শুরু হওয়ার দু’সপ্তাহ আগে জানাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। সেটাই এখন কেবল ৪৮ ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ করা হল।
যে সব রাজনৈতিক দল প্রার্থীদের অপরাধমূলক কাজকর্মের কথা জানায় না, তাদের প্রতীক সাসপেন্ড করা হোক। এই মর্মে দাখিল হওয়া একটি আবেদনের শুনানি করছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বিহার নির্বাচনের প্রেক্ষিতে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ অনেক রাজনৈতিক দল মানছে না বলে অভিযোগ। সেই রায়ে আরও বলা হয়েছিল, অপরাধের মামলা (Criminal Record) থাকা সত্ত্বেও কেন কোনও প্রার্থীকে বেছে নেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলিকে তা ব্যাখ্যা করে জানাতে হবে। মামলার বিস্তারিত তথ্য ও ওই প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার কারণ বিশদে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট পার্টির ওয়েবসাইটে।
নির্বাচন কমিশন আবার এই তথ্য সংবাদপত্রে প্রকাশের নির্দেশ দেয় রাজনৈতিক দলগুলিকে।
সিপিএম এবং এনসিপি এই নির্দেশ না-মানার জন্য সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে।
অন্যদিকে, অ্যামিকাস ক্যুরি বিজয় হানসারিয়ার রিপোর্টের প্রেক্ষিতে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত নির্দেশটি দেয় প্রধান বিচারপতি এন বি রামানার বেঞ্চে। ওই বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি হলেন বিনীত শরণ ও সূর্য কান্ত।
বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় ২০১৬-য় একটি আবেদন জানান। সেখানে তিনি জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলার শুনানি ফাস্ট-ট্র্যাকিংয়ের আবেদন জানিয়েছিলেন। দোষী সাব্যস্তদের যাতে আজীবন নির্বাচনী দৌড় থেকে বাদ দেওয়া হয়, সেই আর্জিও জানান অশ্বিনী।
বিজয় হানসারিয়ার রিপোর্টে আবার জানানো হয়, দু’বছরেরও কম সময়ে বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে মামলা ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা যাবে না বলে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এ দিন নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, বিশেষ আদালতের যে বিচারকরা সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি করছেন, তাঁদেরও পরবর্তী নির্দেশের আগে বদলি করা যাবে না।
পাশাপাশি, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলার স্টেটাস রিপোর্ট এ দিনও জমা না-পড়ায় উষ্মা প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালত। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহলা জানান, ইডি রিপোর্ট দিলেও সিবিআইয়ের রিপোর্ট জমা পড়েনি। সে জন্য শেষ একটি সুযোগ চেয়ে নেন এসজি।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।