ডিজিটাল ডেস্ক: একদিনে ৩ লক্ষ ১৪ হাজার টপকে দৈনিক সংক্রমণে গোটা পৃথিবীকে হারিয়ে বৃহস্পতিবার রেকর্ড গড়ল ভারত। মারা গিয়েছেন ২,১০৪ জন।
এ পর্যন্ত কোনো দেশে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছিল ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৩০। জানুয়ারিতে আমেরিকায় এই রেকর্ড দেখা গিয়েছিলো। তার চেয়েও ১৭ হাজারের বেশি আক্রান্ত নিয়ে রেকর্ড টপকে গেলো ভারত। এর মধ্যে চিন্তা বাড়িয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড এবং রেমডেসিভিরের আকাল। কেন্দ্র অবশ্য আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছে, অক্সিজেনের চাহিদা ও জোগানে সারাক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং দিল্লির অক্সিজেনের ‘কোটা’বাড়ানো হয়েছে।
গত ১৫ এপ্রিল থেকে একদিনও দেশে দৈনিক সংক্রমণ ২ লক্ষের নীচে নামেনি। কেন্দ্রের মতে, দ্বিতীয় ঢেউ এখনো শীর্ষে পৌঁছয়নি। সংক্রমণের সংখ্যা কবে কমবে, সেটা বলতে পারছেন না কেউ।
পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল মহারাষ্ট্রে। সেখানে নতুন করে কড়াকড়ি শুরু করেছে সরকার। বুধবার সেখানে একদিনে ৫৬৮ জন মারা গিয়েছেন। কোভিডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়, এমন সরকারি-বেসরকারি অফিসে হাজিরা ১৫ শতাংশে বাঁধতে বলা হয়েছে। বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে ২৫ জনের বেশি মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বাস বাদে কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি ছাড়া বেরোতে পারবে না।
দিল্লিতে প্রকট অক্সিজেন সমস্যা। এ জন্য সরকারকে প্রবল তিরস্কার করেছে সেখানকার হাইকোর্ট।
আবার পশ্চিমবঙ্গে আজ, বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোট। কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে সভা মিছিল আয়োজন করে সমালোচিত হয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। কিন্তু তাতেও হুঁশ নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আজ তিনটি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চারটি সভা রয়েছে।
এত কিছুর মধ্যেও বুধবার কিছুটা আশার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্র। তারা জানিয়েছে, টিকা নেওয়ার পর খুব খুব কম সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতি ১০ হাজারে সেটা ২ থেকে ৪ জন। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।