Onlooker desk: বাড়িতে বসে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর। তা নিয়েই শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। কারণ সরকারি নিয়মে প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য বাড়িতে বা বাড়ির কাছাকাছি জায়গায় টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু প্রজ্ঞা কোন হিসেবে সেই তালিকায় পড়ছেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
বাড়িতে বসে সাংসদের টিকা নেওয়ার ভিডিয়ো সামনে আসতেই কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, দিন কয়েক আগেই প্রজ্ঞাকে বাস্কেটবল খেলতে দেখা গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ঢোলের তালে নাচতেও দেখা গিয়েছি বিজেপির এই সাংসদকে। আর টিকা নেওয়ার বেলায় বাড়িতে বসে। অথচ রাজ্যের মানুষ টিকার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিচ্ছেন। তাছাড়া খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিয়েছেন। তা হলে প্রজ্ঞার বেলায় বাড়িতে টিকাকরণ কেন?
अभी कुछ दिन पूर्व ही बास्केट बॉल खेल रही व ढोल की थाप पर नृत्य कर रही हमारी भोपाल की सांसद प्रज्ञा ठाकुर ने आज घर टीम बुलाकर वैक्सीन का डोज़ लगवाया ?
मोदीजी से लेकर शिवराजजी व तमाम भाजपा नेता अस्पताल में जाकर वैक्सीन लगवा कर आये लेकिन हमारी सांसदजी को यह छूट क्यों व किस आधार पर? pic.twitter.com/QYEN4eNiV2
— Narendra Saluja (@NarendraSaluja) July 14, 2021
যদিও সন্তোষ শুক্লা নামে মধ্যপ্রদেশে টিকাকরণ কর্মসূচির এক আধিকারিক বলেন, ‘আমাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রবীণ ও বিশেষ ভাবে সক্ষমদের বাড়ির আশপাশে টিকা দেওয়ার কথা। তা মেনেই প্রথম ডোজ ওঁর বাড়িতে গিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে কোনও নিয়ম ভঙ্গ হয়নি।’ যদিও প্রজ্ঞাকে কোন তালিকায় ফেলা হচ্ছে, তা তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়নি।
এ নিয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর কিছুদিন আগেই বাস্কেটবল খেলছিলেন। তারপরে ঢোলের তালে নাচছিলেন। অথচ তাঁরই বাড়িতে গিয়ে টিকা দিয়ে এল একটি দল? যখন বিজেপির সমস্ত নেতাদের পাশাপাশি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান টিকা নিতে হাসপাতালে গেলেন, তখন ওঁর ক্ষেত্রে এই ব্যতিক্রম কেন?’
এদিকে টিকা নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি আরও ঘটনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বছর ৫১-র প্রজ্ঞা। মুম্বই থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে মালেগাঁওয়ের একটি মসজিদের কাছে মোটরবাইকে বেঁধে রাখা বোমা বিস্ফোরণ হয়। তাতে ছ’জন মারা যান। আহত হন শতাধিক। ওই মামলায় ৯ বছর জেলে কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু ২০১৭ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনে মুক্তি পান তিনি। একই যুক্তি দেখিয়ে একাধিক শুনানিতে গরহাজির থেকেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুম্বইয়ের একটি কোর্ট তাঁকে সশরীর হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়। সে ক্ষেত্রেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখা বিজেপি সাংসদ। তবে তাঁর বাস্কেটবল খেলা বা নাচের ভিডিয়ো দেখার পর শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।