Onlooker desk: আগামী বছরের পরীক্ষার রূপরেখা জানাল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)।
২০২১-২২, অর্থাৎ বর্তমান শিক্ষাবর্ষে দশম ও দ্বাদশের পাঠ্যক্রমকে দু’টি টার্মে ভাগ করে পঠনপাঠন হবে। প্রতি ভাগে পড়ানো হবে পাঠ্যক্রমের ৫০ শতাংশ। পরীক্ষাও হবে দু’ভাগে।
সোমবার একটি বিবৃতি জারি করে এ কথা জানিয়েছে বোর্ড। বিভাজিত পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে দুই টার্মের শেষে পরীক্ষা হবে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে — শিক্ষাবর্ষের শেষে যাতে বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত।
করোনা অতিমারীর কারণে এ বার দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা বাতিল করেছে সিবিএসই। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তারা জানিয়েছে, এখনও অনলাইন ক্লাস চলছে। অবস্থা বিচার করে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য বেশ কিছু বদলের কথা জানিয়েছে বোর্ড।
ভবিষ্যতের পরিস্থিতি অনিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে কোনও বিষয়ের যথাযথ ধারণা তৈরি, ছাত্রকেন্দ্রিক, স্বচ্ছ, প্রযুক্তি-নির্ভর পরীক্ষা পদ্ধতির কথা জানিয়েছে সিবিএসই।
কেমন হবে পদ্ধতি? নবম ও দশমের ক্ষেত্রে দুই টার্ম মিলিয়ে হবে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন। তাতে তিনটি পিরিয়ডিক টেস্ট, স্টুডেন্ট এনরিচমেন্ট, প্র্যাকটিক্যাল প্রজেক্ট ইত্যাদি থাকবে। একাদশ ও দ্বাদশের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন হবে ইউনিট টেস্ট বা প্র্যাকটিক্যাল বা প্রজেক্ট কিংবা গবেষণামূলক কাজের উপর।
অতিমারী আবহে কোনও ক্ষেত্রেই সময় বেঁধে দেয়নি সিবিএসই। তারা জানিয়েছে, প্রথম টার্মের পরীক্ষা হবে এ বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত স্কুলগুলি ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ সময়ে তা নেবে। টার্ম ২-এর পরীক্ষা হবে আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলে। সে ক্ষেত্রে বোর্ডের নির্দিষ্ট করে দেওয়া কেন্দ্রেই পরীক্ষা হবে। তবে টার্ম ১ এবং টার্ম ২-এর ক্ষেত্রে যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, তখনকার পরিস্থিতি বিচার করা হবে। তার পরেই পরীক্ষা ও তার মূল্যায়নের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।
সরকারি ভাবে জারি করা বিবৃতিতে সোমবার আরও কিছু কথা জানিয়েছে সিবিএসই। যেমন, অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন, প্র্যাকটিক্যাল এবং প্রজেক্ট আরও বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তব ক্ষেত্রে কার্যকর করে তোলা হবে। নম্বরের বিভাজন যাতে যথাযথ হয়, সেই লক্ষ্যে মডারেশন পলিসিও ঘোষণা করবে বোর্ড।
এ ছাড়া কিছু দায়িত্ব থাকবে স্কুলের। যেমন প্রত্যেক পড়ুয়ার একটি প্রোফাইল হবে। গোটা শিক্ষাবর্ষে তাদের মূল্যায়নের রেকর্ড রাখতে হবে সেখানে। ডিজিটাল ফরম্যাটে তা নথিভুক্ত করতে হবে স্কুলগুলিকে।
করোনার কারণে সিবিএসই ছাড়াও আইসিএসি এবং বিভিন্ন রাজ্য বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করেছে। তবে বিকল্প পঠনপাঠনের এমন বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রথম জানাল সিবিএসই-ই।
বিভাজিত পাঠ্যক্রমে দু’ভাগে পরীক্ষা, দশম-দ্বাদশ নিয়ে কী জানাল সিবিএসই
