Onlooker desk: গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ১৬ বছরের এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হলো ঝাড়খণ্ডের পালামৌয়ের লালমাটির জঙ্গল থেকে। ডানদিকের চোখ খোবলানো। শরীরে আঘাতের চিহ্ন। পরিবারের অভিযোগ, যৌন নিগ্রহের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে মেয়েটিকে। যাতে আপাত ভাবে মনে হয়, সে আত্মহত্যা করেছে। যদিও ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলছে না পুলিশ। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা স্থানীয় বিজেপি নেতা। এই ঘটনার সূত্রে প্রদীপ কুমার সিং ধানুক নামে বছর তেইশের এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিবাহিত ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের অনুমান।
হত মেয়েটির বাড়ি পাঙ্কি থানার বুধাবার গ্রামে। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সকলের বড় ছিল সে। স্থানীয় শ্মশানে অন্ত্যেষ্টি হয় তার।
মৃতার পরিবার জানিয়েছে, গত ৭ জুন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোনোর পর আর আর খোঁজ মেলেনি মেয়ের। পাঙ্কি থানার স্টেশ-ইন-চার্জ অশোক কুমার জানান, গত মঙ্গলবার, ৮ তারিখ মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে থানায় ডায়েরি করেন বাড়ির লোক। তারপর তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এরই মধ্যে গাছে কাপড়ের টুকরো দিয়ে বাঁধা মেয়েটির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
তদন্তকারীদের অনুমান, ওই কিশোরীকে হত্যার আগে নৃশংস ভাবে মারধর করা হয়। বুধবারই মেয়েটির দেহ ময়না-তদন্তের জন্য মেদিনীনগরে মেদিনী রাই মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। পরিবারের অভিযোগ, হত্যার আগে যৌন নিগ্রহ চালানো হয় মেয়ের উপরে।
পালামৌয়ের সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসপি) সঞ্জীব কুমার জানান, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলেই যৌন নিগ্রহের বিষয়টি পরিষ্কার হবে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, মেয়েটির সঙ্গে কারও প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে এই ঘটনার যোগ থাকতে পারে। সঞ্জীব বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মেয়েটির পরিবার এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিল। দিনকয়েক আগে বাড়ির লোকের সঙ্গে এ নিয়ে মেয়েটির কথা কাটাকাটি থেকে মারধর পর্যন্ত হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। তার পরেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ওই কিশোরী। সব দিক মাথায় রেখেই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।’
এরই মধ্যে মুখ খুলেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র প্রতুল সহদেব জানিয়েছেন, পুলিশি তদন্তে যদি নিহত কিশোরীর পরিবার সন্তুষ্ট না-হয়, তা হলে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সরব হবে গেরুয়া শিবির।
ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতার মেয়ের দেহ উদ্ধার গাছ থেকে, ধর্ষণের পর খুন?
