Onlooker desk: করোনা কমে কিছুটা স্বস্তি না-ফিরতেই দিল্লিতে নতুন উদ্বেগ নিয়ে হাজির ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। বৃহস্পতিবার সেখানে ১৫৩ জনের শরীরে নতুন করে এই ছত্রাকের হদিস মিলেছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে অতিমারী আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে নোটিস জারি করেছেন। অর্থাৎ, কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কেউ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে গেলে সেটা রিপোর্ট করতে হবে সরকারের কাছে। করোনার মতো ব্ল্যাক ফাঙ্গাসেরও হিসাব রাখা হবে।
বুধবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, ৬২০ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ভুগছেন রাজধানীতে। একদিনে সেই সংখ্যাটা লাফিয়ে পৌঁছল ৭৭৩-এ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও স্টেরয়েডে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতেই থাবা চওড়া করেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস। স্বাস্থ্যবান মানুষের শরীরে এই ছত্রাক তেমন ক্ষতি করতে না-পারলেও যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের জন্য বড়সড় উদ্বেগের কারণ এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এতে ফুসফুস, মস্তিষ্ক ও দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সময়মতো যথাযথ চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ব্লাড সুগারের রোগীদের এই রোগ প্রচণ্ড ক্ষতি করতে পারে।
দেশে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৭১৭টি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কেস পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ২৮৫৯টি গুজরাটে। তার পরে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গও বিশেষ স্বস্তিতে নেই। ধীরে হলেও ক্রমশ থাবা চওড়া করছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। বৃহস্পতিবার নতুন করে পাঁচ জনের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যে এ পর্যন্ত ১৮ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের শিকার হলেন। মৃত্যু হয়েছে দু’জনের।
দিল্লিতে নতুন উদ্বেগ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, স্বস্তিতে নেই বাংলাও
