Onlooker desk: ফের এক বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন মজুতের অভিযোগ উঠল। গৌতম গম্ভীরের পর এ বার সুজয় ভিখে পাটিল। এ জন্য বম্বে হাইকোর্ট তীব্র ভাবে তিরস্কার করেছে সুজয়কে।
আদালতের কথায়, ‘এটা রবিনহুড হওয়ার সময় নয়। আক্রান্তদের মধ্যে সমান ভাবে ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন বণ্টন হওয়া উচিত।’
আহমেদনগরের সাংসদ সুজয় নিজের এলাকার মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য বিপুল পরিমাণ রেমডেসিভির মজুত করেছেন বলে অভিযোগ উঠছিল। মহারাষ্ট্রে বর্তমানে রেমডেসিভিরের ঘাটতি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেআইনি মজুতের অভিযোগে সুজয়ের নামে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিচারপতি রবীন্দ্র ঘুগে এবং বিইউ দেবদ্বারের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘এটা রবিনহুড হওয়ার সময় নয়। সব রোগীর মধ্যে সমান ভাবে রেমডেসিভির বিলি হওয়া উচিত। সে জায়গায় বেআইনি ভাবে সেগুলি মজুত করে রেখেছেন আপনি।’
মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। সম্প্রতি চার্টার্ড বিমানে বাক্স বাক্স রেমডেসিভির এনে নিজের অফিসে মজুত করেছিলেন সুজয়। এ নিয়ে বিতর্কের মুখে জেলাশাসক অবশ্য সুজয়কে ক্লিনচিট দেন।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ১০ থেকে ২৫ এপ্রিলের বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে আদালত। জেলাশাসকের সহযোগিতা ছাড়া যে এ কাজ হয়নি, তা-ও জানিয়ে দেয় কোর্ট।
ছবি: টুইটার