Onlooker desk: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে (cloudburst) মারা গেলেন অন্তত সাত জন। এখনও নিখোঁজ বহু। বুধবার সকালে জম্মুর (Jammu) কিষ্টোয়ারে (Kishtwar) ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, অন্তত ২৮ জনের খোঁজ মিলছে না।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ভোর চারটে নাগাদ কিষ্টোয়ারের দাচ্চান এলাকার হোঞ্জার গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। উদ্ধারকাজ চলছে। তবে এলাকায় মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় কাজে সমস্যা হচ্ছে। জম্মু (Jammu) থেকে কিষ্টোয়ার শহরের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। আর কিষ্টোয়ার (Kishtwar) জেলার একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা হল দাচ্চান।
কিষ্টোয়ারের অশোক কুমার শর্মী বলেন, ‘এ পর্যন্ত সাতটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং বায়ুসেনা উদ্ধারকাজে যোগ দিচ্ছে।’ কিষ্টোয়ার জেলা পুলিশের প্রধান, এসএসপি শাফকাত ভাট বলেন, ‘ঘটনার সময়ে গ্রামে ৩০ থেকে ৪০ জন ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।’ এসএসপি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার একদিকে ব্রিজগুলি ভেসে গিয়েছে। নদী ফুঁসছে।’ কিষ্টোয়ার (Kishtwar) জেলা হেড কোয়ার্টারের থেকে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামটির দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, যত বেশি সংখ্যক মানুষের প্রাণ বাঁচানো যায়, বর্তমানে সে দিকেই নজর দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘কিষ্টোয়ারে মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের এলজি এবং ডিজিপি-র সঙ্গে কথা বলেছি। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেনা এবং স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। যত বেশি মানুষের প্রাণ বাঁচানো যায়, আমরা তার উপরেই জোর দিচ্ছি।’
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জেনারেল ভিকে সিং বলেন, ‘এলাকাটি কিষ্টোয়ারের (Kishtwar) উপরের দিকে। সড়কপথে পৌঁছনো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আকাশপথে বাহিনীকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।’
সেনা জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই তাদের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে — সকাল সাতটায় ক্যাপ্টেন বিবেক চৌহানের নেতৃত্বে বাহিনী পাঠানো হয়।
লফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেন, ‘মেঘভাঙা বৃষ্টির (cloudburst) মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এত মানুষের মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। শোকস্তব্ধ পরিবারগুলির প্রতি আমার সমবেদনা।’
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের আবহাও ক্রমশ সঙ্কটজনক হবে। ৩০ জুলাই পর্যন্ত লাগাতার বৃষ্টি চলবে। কোনও কোনও এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে হড়পা বান, ধস, জল জমা ইত্যাদির সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। সবক’টি নদীতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের তাই সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। পাহাড়ি, ধসপ্রবণ এলাকা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।