Onlooker desk: ন’বছরের ছেলেকে নিয়ে কোর্টে গিয়েছিলেন মা। আবেদন — নিরন্তর কষ্ট থেকে অসুস্থ সন্তানের নিষ্কৃতির জন্য মার্সি কিলিংয়ের অনুমতি দিক মাননীয় আদালত। তার দু’ঘণ্টার মধ্যে মায়ের সঙ্গে অটোয় বাড়ি ফেরার পথে নিষ্কৃতি পেয়ে গেল ছোট্ট হর্ষবর্ধন, মারাই গেল সে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার তেলঙ্গানায়।
মা অরুণা জানাচ্ছেন, ছেলের জন্মই হয়েছিল রক্তের বিরল অসুখ নিয়ে। কিন্তু শিশুটির চার বছর বয়সে ধরা পড়ে রোগ। এরই মধ্যে বছর চারেক আগে এক দুর্ঘটনার পরে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে সে। চিত্তুরের গ্রামের বাসিন্দা পরিবারটির আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। হর্ষবর্ধনের চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করে, গয়না বন্ধক রেখে অর্থের সংস্থান করেছেন অরুণারা। এমনকী, টানাটানির সংসারে ৪ লক্ষ টাকা ঋণ পর্যন্ত নিয়েছেন। কিন্তু ছেলের শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি।
একদিকে অর্থের ভাণ্ডার নিঃশেষ অন্যদিকে ছেলের নিরন্তর যন্ত্রণা। শেষ পর্যন্ত আর সহ্য করতে না পেরে পুঙ্গানুরের একটি আদালতের দ্বারস্থ হন মা। আবেদন জানান, হয় সরকার তাঁর ছেলের চিকিৎসার ভার নিক নয়তো তাকে নিষ্কৃতি মৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক। দিনদুয়েক হলো এই আবেদন নিয়ে কোর্টে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের ভোগান্তি আর না বাড়িয়ে মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার পথে অটোতেই মুখ দিয়ে রক্ত উঠে নিজে নিজের নিষ্কৃতি খুঁজে নেয় ছোট্ট হর্ষবর্ধন।
সন্তানের নিষ্কৃতি মৃত্যুর আবেদন নিয়ে কোর্টে মা, ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যে মৃত ছেলে
