Onlooker desk: অভিযোগ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে ধর্ষণ ও মারধর করেছিল। আমেঠির বছর চল্লিশের সেই নিগৃহীতা অবশেষে মারাই গেলেন। মৃতার পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, লখনৌয়ের একটি হাসপাতালে মারধর, ধর্ষণের শিকার হন ওই মহিলা। অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ, পুলিশের দ্বারস্থ হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। অবশেষে শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আমেঠিতে গেলে তাঁর কাছে অভিযোগ জানান মৃতার মেয়ে।
স্মৃতির নির্দেশের প্রেক্ষিতে সবক’টি অভিযোগের তদন্তে দল গড়েন আমেঠির জেলাশাসক অরুণ কুমার। মৃতার মেয়ের অভিযোগ, গত ৬ জুন গৌরীগঞ্জের আমেঠি জয়েন্ট ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁর মাকে। কিন্তু সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। লখনৌয়ের ডঃ রাম মনোহর লোহিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে রেফার করা হয় তাঁকে।
মেয়েটির অভিযোগ, লখনৌয়ের ওই হাসপাতালে প্রথমে ইমার্জেন্সিতে রাখা হয় তাঁর মাকে। সেখান থেকে পাঠানো হয় পাঁচতলার একটি শয্যায়। কিন্তু বাড়ির লোককে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অনেক কাকুতি-মিনতির পরে অবশেষে মায়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে মেয়ে গিয়ে দেখেন, তাঁক শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেয়েকে তিনি জানান, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে মারধর করেছে, ধর্ষণ পর্যন্ত করেছে।
যদিও ডঃ রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের এক মুখপাত্র যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘কোনও মহিলাকে হাসপাতালে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে শুনিনি। এমন কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।’
মৃতার মেয়ে জানান, শুক্রবার রাতে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় তাঁর মাকে। তাঁকে গৌরীগঞ্জ জেলা হাসপাতালেই ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবার আমেঠিতে যান স্মৃতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এলাকার সাংসদের কাছে ঘটনাটি জানান মৃতার মেয়ে। তারপরে জেলাশাসক, আমেঠির পুলিশ সুপার ও চিফ মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
গৌরীগঞ্জের আমেঠি জয়েন্ট ডিস্ট্রিক্ট হসপিটালের মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট পি কে উপাধ্যায় জানান, মহিলাকে লখনৌয়ে একটি হাসপাতালে শিফট করা হয়েছিল। তাঁর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ধরা পড়ে। পথেই মারা যান ওই মহিলা।
জেলাশাসক অরুণ কুমার জানিয়েছেন, গৌরীগঞ্জের ডেপুটি কালেক্টর, ডেপুটি পুলিস সুপার-সহ কয়েকজনকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। রিপোর্টর পেলে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন।
হাসপাতালে ধর্ষণ, মারধরের ‘শিকার’ মহিলার মৃত্যু আমেঠিতে
