Onlooker desk: সঙ্কট, ঘাটতি। তাই অক্সিজেনের জোগান বন্ধ করে ‘মক ড্রিল’ করছিল আগ্রার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালের মালিককে পরে ফোনে সে কথা বলতেও শোনা যায়। যার অডিয়ো ক্লিপ (সত্যতা TheOnlooker24X7 যাচাই করেনি) ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে মালিককে বলতে শোন যায়, ২২ জন রোগী অক্সিজেনের অভাবে নীল হতে শুরু করেছিলেন। জেলা প্রশাসনের দাবি, তদন্ত হবে। তবে সে দিনের ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি। রোগীদের প্রাণ নিয়ে এমন অমানবিক ও বিপজ্জনক কাণ্ড ঘটানোর অভিযোগ সামনে আসায় হতভম্ব সব ক্ষেত্রের মানুষ।
কোভিডে বিপর্যস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম উত্তর প্রদেশ। আগ্রাও তার প্রকোপ থেকে দূরে থাকেনি। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে অডিয়ো ক্লিপটি। জানা গিয়েছে, সেটি গত ২৮ মে-র। দেড় মিনিটের ক্লিপে শোনা যাচ্ছে এক ব্যক্তির গলা। দাবি, সেটি ওই নামী হাসপাতালের মালিকের।
কথাবার্তা এই রকম — আমাদের বলা হয়েছিল, প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীকেও দেওয়ার মতো অক্সিজেন নেই, তাই রোগীদের ডিসচার্জ করতে শুরু করুন। গোটা মোদীনগর খাঁ খাঁ করছে। আমরা পরিবারগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করলাম। অনেকে রোগীকে নিয়ে বাড়ি চলে যেতে রাজি হলো। কিন্তু বাকিরা জানাল, তারা এই ভাবে রোগী নিয়ে যাবে না। তখন বললাম, ঠিক আছে তা হলে একটা মক ড্রিল করা যাক। দেখা যাক কারা মরে আর কারা বেঁচে থাকে। সেই মতো মক ড্রিল শুরু হলো সকাল সাতটায়। কেউ সেটা জানত না। আমরা এ ভাবে ২২ জনকে শনাক্ত করলাম, অক্সিজেনের অভাবে যারা মারা যাবে। প্রাণবায়ুর অভাবে তারা নীল হতে শুরু করে। মিনিট পাঁচেক এই মক ড্রিল চলেছিল।
নামী ওই হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসার পৃথক পরিকাঠামো রয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি জারি করে আগ্রার জেলাশাসক প্রভু এন সিং অবশ্য দাবি করেছেন, এই ঘটনায় সে দিন কারও মৃত্যু হয়নি। তবে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে — প্রাথমিক ভাবে কিছু আতঙ্ক ও ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান করে ফেলি আমরা। ওই হাসপাতালটিতে গত ২৬ ও ২৭ তারিখ সাতজন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। তবে ওই ২২ জন মারা গিয়েছেন বলে কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। তদন্ত করে দেখা হবে।
অক্সিজেন পেতে মরিয়া মানুষের লম্বা লাইনের ছবি এপ্রিল থেকে শিরোনামে আসতে শুরু করে। উত্তর প্রদেশের বহু কোভিড হাসপাতাল লাগাতার অক্সিজেনের অভাব নিয়ে সরব হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার অক্সিজেনের অভাবের কথা অস্বীকার করে। জোগান বাড়ানোর যাবতীয় চেষ্টা চলছে বলে তারা দাবি করে। অক্সিজেনের জোগান নিয়ে মিথ্যে কথা বলায় লখনৌয়ের একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
অক্সিজেন বন্ধ করে ‘মক ড্রিল’ হাসপাতালে, নীল হয়ে উঠলেন ২২ রোগী

প্রতীকী চিত্র