Onlooker desk: ‘রেকর্ড’ কি ক্রমশ বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মধ্য প্রদেশের জন্য?
গত সোমবার দেশে নতুন টিকানীতির সূচনা হয়। সে দিন মধ্য প্রদেশে ১৭.৪২ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয় বলে খবর। কিন্তু সেই তথ্য কতদূর ঠিক?
প্রশ্ন উঠছে কারণ ‘টিকাগ্রহীতা’রাই নানা অভিযোগ আনছেন। এ বার জানা গেল, ১৩ বছরের এক বালকও সে দিন টিকা পেয়েছে! শংসাপত্রে তার বয়স দেখানো হয়েছে ৫৬।
গত সোমবার সন্ধ্যাবেলা ভোপালের রজত ডাংরের ফোনে বার্তাটি আসে।সেখানে জানানো হয়, তাঁর বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ১৩ বছরের ছেলেরও টিকাকরণ হয়েছে। নাম বেদান্ত ডাংরে। ঠিকানা ভোপালের টিলা জামালপুরার হাউজিং বোর্ড কলোনি। এ পর্যন্ত সব ঠিক। তবে বয়স নাকি ৫৬!
সংবাদমাধ্যমে রজত বলেন, ‘আমার ছেলে বেদান্তর মাত্র ১৩ বছর বয়স। ওর টিকাকরণ হয়েছে জেনে আমি অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। তাতে লাভ হয়নি। এরপরে মোবাইলে আসা লিঙ্কে গিয়ে শংসাপত্র ডাউনলোড করি। তা দেখে চমকে যাই।’
কেন? রজতের ছেলে বেদান্ত বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন। তার পেনশনের ব্যবস্থা করতে কিছুদিন আগে কর্পোরেশনে নথিপত্র জমা করেন রজত। সেগুলি ব্যবহার করেই তৈরি হয়েছে ১৩ বছরের বালকের টিকার শংসাপত্র! এমনটাই অভিযোগ রজতের।
সে দিন ফোনের বার্তা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন সাতনার চৈনেন্দ্র পাণ্ডেও। পাঁচ মিনিটে তিনটি বার্তা আসে তাঁর ফোনে। জানানো হয়, কাটিক্রম, কালিন্দ্রি ও চন্দন নামে তিন জনের টিকাকরণ হয়েছে। ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হয় চৈনেন্দ্রর। এঁরা কারা? কাউকে তো চেনেন না! তা হলে তাঁদের টিকাকরণের কথা তাঁকে কেন জানানো হচ্ছে!
বছর ৪৬-এর লুঝাত সেলিমের এখনও টিকাকরণ হয়নি। কিন্তু তাঁকেও টিকা নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা পাঠানো হয়।
স্বাভাবিক ভাবেই কোনও অভিযোগ স্বীকার করছে না সরকার। মধ্য প্রদেশের মেডিক্যাল এডুকেশন মন্ত্রী বিশ্বাস সারং সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এমন কোনও সমস্যা নেই। এমন ঘটনার কথা প্রথম শুনছি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’
বিরোধীরা অবশ্য সুযগ ছাড়ছে না। একে হাতিয়ার করে তারা নেমে পড়েছে ময়দানে। কংগ্রেসর মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা বলেন, ‘প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে। ১৩ বছরের একটি ছেলেকে নাকি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে! টিকা পেয়েছেন এক মৃত ব্যক্তিও! বেতুল গ্রামের ৪৭ জন টিকা পাননি। রেকর্ড সংখ্যক ভ্যাকসিনের দাবি গিমিক ছাড়া কিচ্ছু নয়।’
১৩-র বালকও ‘টিকা’ পেয়েছে মধ্য প্রদেশে! বিতর্কে জেরবার সরকার

প্রতীকী চিত্র