Onlooker desk: হটশটে ঠিক কী ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করা হত, সে সম্বন্ধে তিনি অবহিত ছিলেন না। মুম্বই পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি (Shilpa Shetty)। প্রসঙ্গত, ওই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই তাঁর স্বামী তথা ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রা পর্নোগ্রাফি শেয়ার করতেন বলে অভিযোগ।
স্বামীকে নিরপরাধ বলেও দাবি করেন শিল্পা। এ প্রসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা, যৌন উস্কানিমূলক ছবি ও পর্নোগ্রাফি এক নয়। তাঁর স্বামী পর্নোগ্রাফি তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এ ব্যাপারে শিল্পা শেঠি (Shilpa Shetty) তাঁদের আত্মীয়, লন্ডন নিবাসী প্রদীপ বক্সীর দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, প্রদীপই ওই অ্যাপের সঙ্গে জড়িত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। স্বামীর পর্নোগ্রাফি চক্রের ব্যাপারে তিনি কিছু জানতেন কি না, সেটাই বোঝার চেষ্টা করা হয় বলে সূত্রের খবর।
শুক্রবারই রাজকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ৪৮ টিবি ছবি ও ভিডিয়ো সিজ করেছে। যার বেশির ভাগই অ্যাডাল্ট কনটেন্ট।
পাশাপাশি ব্যাঙ্ক লেনদেনের তথ্যও পুলিশের হাতে এসেছে। ইয়েস ব্যাঙ্কে কুন্দ্রার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ আফ্রিকায় লেনদেনের সূত্র মিলেছে বলে তদন্তকারীরা জানান। পর্নোগ্রাফি বিক্রির টাকা অনলাইন বেটিংয়ে ব্যবহার করা হত বলে তাঁদের সন্দেহ। এ পর্যন্ত সাড়ে সাত কোটি টাকা সিজ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজের মামলার শুনানির সময়ে তাঁর আইনজীবী আবাদ পণ্ডাও বাজেয়াপ্ত করা কনটেন্টগুলিকে পর্নোগ্রাফি বলায় আপত্তি জানান। তাঁর বক্তব্য, সেগুলি আইটি অ্যাক্টের ৬৭ নম্বর ধারায় আসছে না। তাই রাজকে জামিন দেওয়া যেতেই পারে। এমন কনটেন্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও দেখানো হয় বলে আবাদের দাবি।
রাজও দাবি করেছেন, তিনি কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। প্রদীপ বক্সীর দিকে আঙুল তাঁরও। কিন্তু পুলিশের বক্তব্য, ওই অ্যাপের টাকাপয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে সব জানতেন রাজ। কনটেন্টের প্রোডাকশন, ডিস্ট্রিবিউশন ও বিক্রি নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ পর্যন্ত খোলেন বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে বম্বে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন রাজ। পুলিশ হেফাজত বাড়ানোর ব্যাপারে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করার জন্যও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, বয়ান রেকর্ডিংয়ের জন্য পুলিশ তাঁকে ডেকেছিল। সে কারণে তিনি পুলিশ স্টেশনে যান এবং সেখানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে, পুলিশের দাবি, পর্নোগ্রাফি চক্রের মাথা হলেন রাজ। তাদের কাছে এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত তথ্যও রয়েছে। যার মধ্যে আছে পর্নোগ্রাফি ক্লিপ এবং ইমেল। যেগুলি রাজের অফিস থেকে পাওয়া গিয়েছে।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।