প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান: পরিচালক–জামাই রাজ চক্রবর্তী বিধায়ক হয়েছেন বলে কথা! রবীন্দ্রনাথঠাকুরের ১৬০তম জন্মদিনেও জামাইকে নিয়ে মেতে থাকলেন শ্বশুর দেবপ্রসাদ ও শাশুড়ি বীণাগঙ্গোপাধ্যায়। রবি ঠাকুরের সঙ্গে একেবারে এক আসনে বসিয়ে দিলেন জামাইকে! সঙ্গে রাখলেনমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও।
রবিবার ছিল ২৫ বৈশাখ। দেবপ্রসাদ–বীণা এ দিন ফুলের মালা পরানো রবি ঠাকুরের ছবির একপাশেরাখলেন রাজের ছবি, আর এক পাশে মমতা। তারই সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্বকবিকে শ্রদ্ধা জানালেন রাজেরশ্বশুর–শাশুড়ি তথা অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের বাবা–মা। যা দেখে স্তম্ভিত বর্ধমানের বাজেপ্রতাপুরএলাকার বাসিন্দারা!
বাজেপ্রতাপপুরে বাড়ি শুভশ্রীর। এ দিন সকালে সেই পাড়াতেই রবীন্দ্রনাথের জন্মদিবস পালনেরআয়োজন করা হয়। মূল উদ্যোক্তা দেবপ্রসাদ ও বীণা। তাঁদের উৎসাহেই রবি ঠাকুরের দু’পাশে রাখা হয়রাজ ও মমতার ছবি। কিন্তু কেন ওই দু’জন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে এক আসনে বসলেন, তার কোনও ব্যাখ্যাদিতে পারেননি রাজের শ্বশুর ও শাশুড়ি। কিন্তু তাতে বিতর্ক এড়ানো যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই উঠেছেপ্রশ্ন।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘বাজেপ্রতাপপুরে কীহয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে রবীন্দ্রনাথের স্থান সকলের উপরে। তিনিবিশ্বকবি।’ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘ওই পরিবার সদ্য তৃণমূল হয়েছে। তাই একটু বেশি দেখাচ্ছে। কিন্তু এ সব করে আসলে ওঁরা দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন।’
বিজেপি স্বাভাবিক ভাবেই এই সুযোগ হাতছাড়া করেনি। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের এ বারেরবিজেপি প্রার্থী সন্দীপ নন্দী বলেন, ‘যাঁরা এ ভাবে কবিগুরুর জন্মদিন আয়োজন করেছেন, তাঁদের সকলেই শিক্ষিত মানুষ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ চক্রবর্তী একই আসনে, এটা ভাবা যায় না! এ ভাবে আদতে মমতাকেও অসম্মান করা হচ্ছে।’