Onlooker desk: টানা চার দিন ৪ লক্ষের বেশি থাকার পর সোমবার দেশে এক দিনে করোনা সংক্রমণ সামান্য কমে হলো ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৬১। মারা গিয়েছেন ৩,৭৫৪ জন। গত দু’দিন মৃত্যুও হয়েছে চার হাজারের বেশি মানুষের। তবে সংক্রমণ সামান্য কমার স্বস্তি নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ গত কয়েকদিনে যেখানে ১৮ থেকে ১৯ লক্ষ পরীক্ষা হয়েছে, সে জায়গায় রবিবার টেস্ট হয়েছে ১৪.৭৪ লক্ষ নমুনা।
সংক্রমণের বাড়াবাড়িতে একের পর এক রাজ্য লকডাউন ঘোষণা করছে। সোমবার লকডাউন ঘোষণা করেছে উত্তরাখণ্ড। আগামী ১৮ মে পর্যন্ত তা কার্যকর। পরবর্তী নির্দেশ আসার আগে শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স, জিম, থিয়েটার, অ্যাসেম্বলি হল, মদের দোকান ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। তবে ফল, সব্জি, দুধের দোকান খোলা সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিং রাওয়াতের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি পাঞ্জাব, কর্নাটক, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীদেরও ফোন করেন আজ।
দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ আগেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দু’জায়গাতেই লকডাউন। এ বার দিল্লিতে বন্ধ রাখা হয়েছে মেট্রো চলাচলও। ১৭ তারিখ পর্যন্ত ‘তালাবন্দি’ জম্মু-কাশ্মীরও।
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, যে ৩ লক্ষ ৬৬ হাজারের শরীরে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, তাঁদের প্রায় ৭৪ শতাংশই দেশের ১০টি রাজ্যের বাসিন্দা। রাজ্যগুলি হলো মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, দিল্লি, কেরালা, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান ও হরিয়ানা। পশ্চিমবঙ্গে রবিবার দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। মারা গিয়েছেন ১২৪ জন।
কম টেস্টে দেশে সংক্রমণও সামান্য কম, মৃত ৩,৭৫৪
