Onlooker desk: আরও চিন্তা বাড়াল করোনার ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) ভ্যারিয়ান্ট। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ডেল্টা প্লাসের প্রভাবে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মুম্বইয়ের। বেশ ক’মাস কঠোর বিধিনিষেধের পর মহারাষ্ট্র ধীরে ধীরে তা শিথিল করার পথে হাঁটছে। এমন সময়ে ডেল্টা প্লাসের (Delta Plus) প্রকোপে নতুন দুশ্চিন্তা।
গত ২৭ জুলাই বছর ৬৩-র এক বৃদ্ধা ডেল্টা প্লাসে মারা গিয়েছেন। সেটিই মুম্বইয়ে ডেল্টা প্লাসের (Delta Plus) প্রথম মৃত্যু বলে জানা গিয়েছে। রায়গড়ে মারা গিয়েছেন ৬৯ বছরের এক বৃদ্ধ। গত মাসে রত্নগিরিতে প্রাণ গিয়েছে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধার।
মুম্বইয়ের ওই প্রবীণ নাগরিকের করোনা ধরা পড়ে গত ২১ জুলাই। ডায়াবিটিস-সহ একাধির কোমর্বিডিটি ছিল তাঁর। টিকার দু’টি ডোজই নিয়েছিলেন তিনি। শহরের সাত ডেল্টা প্লাস সংক্রামিতের মধ্যে একজন ছিলেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফল জানা যায় বুধবার।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পাওয়ার পর বাকি ডেল্টা প্লাস (Delta Plus) সংক্রামিতদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে বৃহণ্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। বৃদ্ধার সংস্পর্শে আসা দু’জনের শরীরেও ডেল্টা প্লাসের হদিস পাওয়া গিয়েছে। তবে তাঁর পর্যটনের কোনও রেকর্ড না থাকায় তাঁর শরীর থেকে অন্যত্র এই ভ্যারিয়ান্ট ছড়ানোর আশঙ্কা নেই। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অক্সিজেন, স্টেরয়েড এবং রেমডেসিভির দিয়েও বাঁচানো যায়নি বৃদ্ধাকে।
মুম্বইয়ের সাতজনকে নিয়ে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) মোট ১৩ জনের শরীরে ডেল্টা প্লাসের হদিস মিলেছে। তার মধ্যে তিনটি কেস পুনের। নান্দেদ, গোন্ডিয়া, রায়গড় এবং পালঘরে দু’টি করে। চন্দ্রপুর ও আকোলায় একটি করে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে।
সাতজন শিশু ও আটজন প্রবীণ নাগরিকের শরীরেও এই ভ্যারিয়ান্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সংক্রামিতদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দপ্তর।
বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত ৮৬ জনের শরীরে ডেল্টা প্লাসের খোঁজ মিলেছে। কিন্তু তা খুব বেশি হারে বাড়ার খবর নেই। সংক্রামিতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাসিন্দা মহারাষ্ট্রের। তার পরে রয়েছে মধ্য প্রদেশ এবং তামিলনাড়ু। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের প্রধান সুজিত সিং সংবাদমাধ্যমে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এই ভ্যারিয়ান্ট চক্রবৃদ্ধি হারে ছড়িয়ে পড়ছে, এমনটা দেখা যায়নি।’
ভারতে প্রথম হদিস মেলে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের। যার জেরে এপ্রিল-মে মাস জুড়ে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার নেয়।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।