Onlooker desk: কোভিড-বিধি মেনে চলার জন্য পর্যটকদের কাছে আবেদন জানালেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর।
করোনার সংখ্যা সামান্য কমতে না কমতেই বিভিন্ন পর্যটনস্থলে ভিড় বাড়ছে। মাস্ক ছাড়া, গাদাগাদি ভিড়ের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যেই এই প্রবণতাকে ‘উদ্বেগের কারণ’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
জয়রাম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যত সংখ্যক পর্যটক রাজ্যে আসছেন, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। পর্যটকরা এখানে স্বাগত। কিন্তু সকলের কাছে আবেদন, কোভিডের নিয়ম মেনে চলুন।’
পরিস্থিতি কিন্তু এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) চিফ সায়েন্টিস্ট সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, বিশ্বের বেশির ভাগ প্রান্তে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট। কাজেই অতিমারী কমে এসেছে বলে যে দারণা তৈরি হয়েছে, সেটা ঠিক নয়।
কিছু কিছু দেশে টিকাকরণের জেরে সঙ্কটজনক কেস বা হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কমছে। কিন্তু এখনও বিশ্বের বড় অংশে অক্সিজেন ও শয্যার সঙ্কট রয়েছে। মৃত্যুর হারও বেশি। প্রসঙ্গত, শনিবার ভারতেই এক দিনে ১২০০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন।
একটি সাক্ষাৎকারে সৌম্যা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে নতুন করে ৫ লক্ষ সংক্রমণ এবং ৯,৩০০ মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তা হলে অতিমারী কমে আসছে, এটা কী করে বলা যায়!’
হু-এর ছ’টি অঞ্চলের মধ্যে পাঁচটিতেই সংক্রমণ বেড়েছে। আফ্রিকায় মাত্র দু’সপ্তাহে মৃত্যুর হার ৩০-৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সৌম্যা জানান। এই বৃদ্ধির পিছনে মূলত কয়েকটি কারণ দায়ী। প্রথমত, দ্রুত ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের ছড়িয়ে পড়া। দ্বিতীয়ত, টিকাকরণের শ্লথ গতি। এ ছাড়া মাস্ক, দূরত্ব-বিধিতে অনীহা।
বস্তুত, এই বিষয়গুলিই সম্প্রতি ভারতের নানা প্রান্তে পর্যটন স্থলগুলিতে দেখা গিয়েছে। মানালিতে এত বেশি ভিড় হয়েছে যে কড়া পদক্ষেপের পথ ধরেছে প্রশাসন। মাস্ক না পরলে ৫০০০ টাকা জরিমানা অথবা আট দিনের জেলের নিয়ম চালু হয়েছে।
কেম্পটি ফলস থেকে হরিদ্বারের হর কি পউরি ঘাটে থিকথিকে ভিড়ের ছবিতে আঁতকে উঠছেন অনেকে। তার মধ্যে বহু পর্যটকের দাবি, তাঁরা করোনাকে ভয় পান না। এই পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ডের হোটেলগুলিতে ৫০ শতাংশ রিজার্ভেশনের নিয়ম চালু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, নৈনিতাল ও দেরাদুনের হোটেলে ৫০ শতাংশের বেশি গেস্ট রাখা যাবে না।
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রামও বলেন, ‘আমাদের পর্যটন শিল্পকেও বাঁচাতে হবে। আমি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছি। ভিড়ের উপর নজর রাখা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে বলেছি। কোভিড-১৯ এখনও যায়নি। হোটেলগুলিকেও বিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।’
অতিমারীর প্রকোপ কমেনি: হু-এর সতর্কতার মাঝেই পর্যটকদের বিধিতে বাঁধতে নানা নিয়ম

হর কি পউরি ঘাটে এমনই ভিড়ের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে নেট মাধ্যমে