Onlooker desk: শুক্রবার গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হলেন ২ লক্ষ ৫৯ হাজার মানুষ।মারা গেলেন ৪,২০৯ জন। এর মধ্যে জুনে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমে জানুয়ারিতে তৃতীয় ঢেউয়েরআশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি প্যানেল।
তবে পুরো চিত্রটাই আশঙ্কার নয়। কিছু কিছু আশার আলোও দেখা যাচ্ছে। যেমন, গোটা দেশেইপজিটিভিটি রেট (টেস্টের নিরিখে করোনার ধরা পড়ার হার) কমে ১২.৫৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে দিল্লি ও মুম্বই। দিল্লিতে গত ১০ দিনে কোভিড সংক্রমণ ৭৫ শতাংশ কমেছে।মুম্বইয়ে তা কমেছে ২৫ শতাংশ। কিন্তু দিল্লিতে মৃত্যু কমেছে অনেকটাই কম হারে, মাত্র ২৭ শতাংশ। গত১০ মে যেখানে দিল্লিতে ১২ হাজার ৬৫১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন, সে জায়গায় ২০ মে একদিনেসংক্রামিত ৩,২৩১। ১০ দিনে মৃত্যু ৩১৯ থেকে কমে হয়েছে ২৩৩। অন্যদিকে, মুম্বইয়ে দৈনিক আক্রান্তেরপাশাপাশি মৃত্যুও কমেছে তাল মিলিয়ে (২৩ শতাংশ)। ১০ মে মুম্বইয়ে ১৭৯৪ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে, মারা যান ৭৪ জন। ২০ মে আক্রান্ত হন ১৪২৫ জন, মৃত্যু হয় ৫৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ লক্ষ ৬১ হাজার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। একদিনের নিরিখে সর্বোচ্চ।
এর মধ্যে চিন্তা বাড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস। সেটিকেও মহামারী আইনের আওতায়আনা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগের প্রকোপ। পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে হোয়াইটফাঙ্গাসও। সাদা ছত্রাকের সংক্রমণ আরও ভয়াবহ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
টিকাকরণের পরিস্থিতিও বিশেষ আশাব্যঞ্জক নয়। বৃহস্পতিবার মাত্র ১১ লক্ষ ৬৬ হাজারকে টিকা দেওয়াহয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হয়ে জানুয়ারিতে আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ের আগেযা চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্র জানিয়েছে, বাতাসে অতিক্ষুদ্র ভাসমান জলকণা বাএরোসল, যা মুখ কিংবা নাক নিঃসৃত তরল হতে পারে, সেগুলি১০ মিটার পর্যন্ত ভাসতে পারে। কাজেইআশঙ্কার তুলনায় অনেক বেশি হারে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে করোনা। এই পরিস্থিতিতে দু’টি মাস্কএবং খোলামেলা পরিবেশে বসবাসের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে বাইরের বাতাস ঘরে ঢুকতেপারে। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকখানি কমে।