Onlooker desk: দেড়শো দিনেরও বেশি সময় পরে ২৫ হাজারের ঘরে নামল ভারতের (India) দৈনিক করোনা (corona) সংক্রমণ (corona)। টিকার সংখ্যাতেও তৈরি হল রেকর্ড।
১৫৪ দিন বাদে মঙ্গলবার গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ১৬৬ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। যার সূত্রে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত দাঁড়াল ৩ কোটি ২২ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৭৯-তে। জাতীয় রোগমুক্তির হার ৯৭.৫১ শতাংশ। গত মার্চের পর সর্বাধিক।
কিন্তু এরপরেও যে করোনার (corona) আতঙ্ক মানুষের পিছু ছাড়ছে না, ম্যাঙ্গালুরুর একটি ঘটনায় আরও একবার তা প্রমাণিত হয়েছে। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় আত্মঘাতী হয়েছেন এক দম্পতি।
পাশাপাশি একদিনে টিকার (vaccine) হিসাবেও এ দিন রেকর্ড গড়েছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮.১৩ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক মঙ্গলবার জানিয়েছে।
দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে আপাতত ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৪৬। গত ১৪৬ দিনে যা সর্বনিম্ন। মোট সংক্রামিতের ১.১৫ শতাংশ। গত বছর মার্চের পর যা সবচেয়ে কম। মারা গিয়েছেন ৪৩৭ জন। দেশে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৯।
এ বাদে সোমবার মোট ১৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৮৫ জনের করোনা পরীক্ষা হয়। গোটা দেশে এ পর্যন্ত ৪৯ কোটি ৬৬ লক্ষ ২৯ হাজার ৫২৪টি কোভিড টেস্ট হয়েছে। দৈনিক পজিটিভিটির হার ১.৬১ শতাংশ। অর্থাৎ পরীক্ষা হওয়া প্রতি ১০০ জনে ১.৬১ জন করোনায় আক্রান্ত। গত ২২ দিন ধরেই তা তিন শতাংশের কম।
গত সপ্তাহের পজিটিভিটির হার ছিল ১.৯৮ শতাংশ। মোট করোনামুক্তির সংখ্যা ৩ কোটি ১৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৭৫৪।
এ দিকে টিকাকরণেও বড়সড় সাফল্য মঙ্গলবার। একদিনে ৮৮.১৩ লক্ষ ডোজের হাত ধরে দেশে এ পর্যন্ত ৫৫.৪৭ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। একদিনে ৮৮.১৩ লক্ষ ডোজ টিকা দেওয়া দেশে এ পর্যন্ত রেকর্ড।
অথচ এত ইতিবাচক খবরের মধ্যেও এক দম্পতির আত্মহত্যার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে (Mangaluru)। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁরা। বছর চল্লিশের রমেশ ও তাঁর স্ত্রী গুণা আর সুবর্ণার ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। এর পরে প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন তাঁরা।
বিষয়টি জানিয়ে ম্যাঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার এন শশী কুমারকে ভয়েস মেসেজ পাঠান দম্পতি। সেখানে বলেন, এই ভাইরাস নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে সব খবর তাঁরা দেখেছেন, তাতে উদ্বেগ আর সহ্য করতে পারছেন না। সে কারণে জীবন শেষ করে দিচ্ছেন।
পুলিশ কমিশনার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেন। তড়ঘড়ি কোনও পদক্ষেপ না করার জন্য অনুরোধ জানান। সংবাদমাধ্যমেও খবর দেন। কিন্তু কেউ পৌঁছনোর আগেই নিজেদের শেষ করে দেন ওই দম্পতি।
তবে কেবল করোনার (corona) উদ্বেগ, না অন্য কোনও কারণ এর পিছনে রয়েছে, সেটাও দেখা হচ্ছে খতিয়ে। সন্তান না-থাকায় এমনিতেই হতাশ ছিলেন দম্পতি। তাঁদের প্রথম সন্তান জন্মের ১৩ দিন পর মারা যায়। তা ছাড়া সুবর্ণার ছিল ডায়াবিটিস। দিনে দু’টি ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিয়েও তা নিয়ন্ত্রণে থাকছিল না। সুইসাইড নোটে এ সব কথাও লিখেছেন তিনি।
Theonlooker24x7.com–র সব খবরের নিয়মিত আপডেট পেতে লাইক করুন ফেসবুক পেজ ও ফলো করুন টুইটার।