Onlooker desk: টিকা নিয়ে নতুন বিবাদ। এ বার ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে নয়াদিল্লির।
সদস্য দেশগুলিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছু টিকাগ্রহীতাকেই ছাড় দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। কিন্তু সেই তালিকায় কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন নেই। অ্যাস্ট্রাজেনেকার অন্য টিকাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। অথচ ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি ওই সংস্থারই কোভিশিল্ড তালিকায় নেই।
এ প্রসঙ্গে ইউরোপিয় ইউনিয়নের দাবি ছিল, কোভিশিল্ডের জন্য আবেদন জানানো হয়নি। সিরাম অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দেয়। এই পলিসির রেশ ধরেই নতুন বিবাদের সূত্রপাত।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, পাল্টা পথ ধরতে চলছে ভারত। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়া না-হলে ওই দেশগুলির টিকা শংসাপত্রকেও ভারত গ্রহণ করবে না। সে ক্ষেত্রে ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আসা যাত্রীদের ভারতে এলে বাধ্যতামূলক ভাবে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে।
কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে ডিজিটাল কোভিড সার্টিফিকেটে রাখতেই হবে। এই মর্মে ইইউ-এর উপরে চাপ বাড়িয়েছে ভারত।
ইইউ একটি নতুন গ্রিন পাস পলিসি নিয়েছে। সেখানে ঠাঁই হয়নি ভারতের কোনও টিকার। কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন নিলেও ইইউ-এর সদস্য দেশে ঢোকার ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে সংশয়। রুশ টিকাকেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ স্পুটনিক ভি-ও সে ক্ষেত্রে কার্যকর হচ্ছে না।
ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) যে টিকাগুলিকে অনুমোদন দিয়েছে, কেবল সেগুলিই রয়েছে তালিকায়। অর্থাৎ ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জ্যানসেন।
কিন্তু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই তো ভারতে সিরাম বানাচ্ছে। তা হলে এই বৈষম্য কেন? ভারতে ইউরোপিয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উগো অ্যাস্তুতোকে এই প্রশ্ন করেছিল একটি সংবাদসংস্থা। তার জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক টিকাকে তার কার্যকারিতার ভিত্তিতে ছাড়পত্র আদায় করতে হবে।’
মঙ্গলবারই সিরাম সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা ইইউ-এর সবুজ সঙ্কেত পাওয়া চেষ্টা করছে। কোভিশিল্ডের ছাড়পত্রের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার মাধ্যমে আভেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এমন কোনও আবেদন এখনও আসেনি বলে দাবি ইএমএ-র।
সে দিন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। ইইউ-এর এক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। কোভিশিল্ডের ছাড়পত্রের ব্যাপারে কথা বলেন।
পরে একটি টুইট করেন জয়শঙ্কর। সেখানে লেখেন — ভ্যাকসিন উৎপাদন ও তার ছাড়পত্র নিয়ে কথা হলো। ইউরোপে যাওয়ার ব্যাপারে কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দেওয়ার প্রসঙ্গও উত্থাপিত হয়। এ ব্যাপারে আলোচনা চলবে।
তবে ইইউ জানিয়েছে, সদস্য দেশগুলি নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আইসল্যান্ড যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অনুমোদিত টিকাকেও স্বীকৃতি দিচ্ছে। সেই সূত্রে আইসল্যান্ডে কোভিশিল্ডের ছাড়পত্র থাকবে। তবে কোভ্যাক্সিন এখনও হু-এর সবুজ সঙ্কেত পায়নি। ফ্রান্স আবার কেবল ইএমএ-স্বীকৃত টিকাকেই অনুমোদন দেবে বলে জানিয়েছে।
কোভিশিল্ডের ছাড়পত্র না মিললে ইইউ থেকে আগতরা বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনে, পাল্টা ভারতের
