Onlooker desk: কাল, বৃহস্পতিবার ছিল ৪ লক্ষ ১২ হাজারের বেশি। আজ, শুক্রবার ভারতের দৈনিক সংক্রমণ তাকে টপকে নতুন রেকর্ড গড়ে হলো ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮। মারা গিয়েছেন ৩,৯১৫ জন। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ঘাটতি উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণে ৪ লক্ষের গণ্ডি টপকে গত সপ্তাহেই গোটা বিশ্বে রেকর্ড স্থাপন করেছিল ভারত। মার্চের গোড়াতেও যে জায়গায় দেশে দিনে হাজার ১৫ নতুন সংক্রমণের খবর মিলছিল, তখন গত কয়েক সপ্তাহে রোজই গড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন ৩ লক্ষের বেশি মানুষ। এ সপ্তাহের গোড়ায় দেশে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২ কোটি পেরিয়ে গিয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজস্থান। কেরালায় কড়া নিষেধাজ্ঞা ৮ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে। বেশ কিছু রাজ্য ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ করছে। করোনা-বিধি মেনে চলা এবং টিকাকরণ — এই দু’য়ের মাধ্যমেই মহামারী রোধ করা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা বারবার জানিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে ১ মে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদেরও টিকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিল সরকার। কিন্তু টিকার জোগানই নেই। তাই হাতে গোনা ক’টি রাজ্য বাদে সেই প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য এর মধ্যেও টিকাকরণের গতি শ্লথ যাতে না-হয়, তা নিয়ে নানা কথা বলে চলেছেন। কিন্তু টিকা ছাড়া টিকাকরণ কী ভাবে সম্ভব, সে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
এ দিকে রাজধানী দিল্লির অবস্থা ভয়াবহ। কেন্দ্রের কাছে দৈনিক ৭০০ টন অক্সিজেন চেয়েছিল দিল্লি সরকার। তা নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, দিল্লিকে ওই অক্সিজেন দিতেই হবে কেন্দ্রকে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগ ছিল, তাঁদের যে পরিমাণ অক্সিজেন পাওয়া উচিত, তার অর্ধেক দিয়ে আশপাশের বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, অক্সিজেন নিয়ে কড়া সুপ্রিম কোর্ট

ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা (ছবি সংগৃহীত)