Onlooker desk: কোভিশিল্ড টিকা নিলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) ‘গ্রিন পাস’ না-ও মিলতে পারে। আগামী ১ জুলাই এই পাস দেওয়া শুরু করবে ইইউ। কিন্তু তার জন্য যে সব টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তার তালিকায় নেই কোভিশিল্ডের নাম।
ইইউ-এর বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র ডিজিটাল ভ্যাকসিন পাসপোর্ট দেওয়া শুরু করেছে। এর সাহায্যে কাজ বা ভ্রমণের সূত্রে ঘোরাঘুরি করা যাবে। কোনও ব্যক্তির সঙ্গে ইমিউনিটি পাসপোর্ট থাকলে বোঝা যাবে যে ওই ব্যক্তি টিকা নিয়েছেন। বা তাঁর সাম্প্রতিক করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। কিংবা একবার করোনা হওয়ায় তাঁর স্বাভাবিক ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে।
আগে ইইউ জানিয়েছিল, যে কোনও টিকা নিলেই মিলবে এই সার্টিফিকেট। কিন্তু এই সার্টিফিকেট বা ‘গ্রিন পাস’ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন অন্য রকম। জানানো হয়েছে, ইইউ-এর মার্কেটিং অথরাইজেশন পেয়েছে, কেবল এমন টিকাই ছাড়পত্র পাবে।
বর্তমানে চারটি টিকাকে এই ছাড়পত্র দিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ)। সেগুলি হলো — কমিরন্যাটি (ফাইজার/বায়োএনটেক), মডার্না, ভ্যাক্সজারভ্রিয়া (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) এবং জ্যানসেন (জনসন অ্যান্ড জনসন)।
কোভিশিল্ডও অ্যাস্ট্রাজেনেকারই তৈরি। তবে তা ভারতে তৈরি করছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। ইউরোপিয়ান মার্কেটের জন্য তাকে অনুমোদন দেয়নি ইএমএ। অথচ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সজারভ্রিয়া ভ্যাকসিন অনুমোদিত। যা ইংল্যান্ড বা ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে।
কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে মূলত ভারতে। বা নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে। এদের টিকার জোগান দিয়েছে হু-এর যৌথ স্পনসরে কোভ্যাক্স উদ্যোগ।
তবে এ ক্ষেত্রে একটা ফাঁক রয়েছে। তা হলো, কোনও সদস্য দেশ চাইলে ইএমএ-র ছাড়পত্র না-পাওয়া টিকাকে স্বীকৃতি দিতে পারে।
যেমন আইসল্যান্ড জানিয়েছে, ইএমএ বা হু অনুমোদিত কোনও টিকা নিলেই দেশে ঢোকার ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ওই চারটি ভ্যাকসিন ছাড়াও রাষ্ট্রপুঞ্জের হেল্থ এজেন্সি ইমার্জেন্সি ইউজ তালিকা। কয়েকটি নাম রেখেছে। সেগুলি হলো, কোভিশিল্ড, করোনাভ্যাক এবং সিনোফার্ম।
ফ্রান্স আবার জানিয়েছে, তারা ইএমএ বাদে কারও অনুমোদন মানবে না। রুশ বা ভারতীয় টিকাকে ছাড়পত্র দিচ্ছে না ফ্রান্স।
ইইউ এর নেতারা আশা করছেন, এই সার্টিফিকেট ব্যবহারের উপযোগী হওয়ার আগে ওই অঞ্চলের ৭০ শতাংশকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পাসপোর্ট ও আইডি কার্ডের সঙ্গে এই সার্টিফিকেট রাখতে হবে ভ্রমণকারীকে।
প্রসঙ্গত, ভারতের অন্য একটি টিকা কোভ্যাক্সিন নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছিল। হু-এর ইমার্জেন্সি ইউজ তালিকায় তার নাম না-থাকায় দেখা দিয়েছিল সমস্যা। কারণ কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল তখনও শেষ হয়নি। সম্প্রতি তা শেষ হয়েছে। দেখা গিয়েছে, কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা প্রায় ৭৮ শতাংশ।
কোভিশিল্ডে না-ও মিলতে পারে এই দেশগুলিতে যাওয়ার ছাড়পত্র
