Onlooker desk: প্রয়োজনের তুলনায় চার গুণ বেশি অক্সিজেন চেয়েছিল দিল্লি। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় অক্সিজেনের সঙ্কটে নাভিশ্বাস উঠেছিল মানুষের। তার মধ্যে রাজধানীর বিরুদ্ধে এ কথা জানাল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তৈরি অক্সিজেন অডিট কমিটি।
যত অক্সিজেন চাওয়া হয়, তার সঙ্গে শয্যায় ব্যবহৃত অক্সিজেনের (Oxygen) গরমিল রয়েছে। হিসাবে এই গোলমালের অভিযোগ উঠেছে দিল্লির বিরুদ্ধে। সরকার জানিয়েছে, হাসপাতালের সই করা আবেদনের ভিত্তিতেই চাহিদার কথা জানানো হয়েছি। বিষয়টি দেখা হবে।
এপ্রিল-মে মাসে দিল্লির বহু হাসপাতাল অক্সিজেন সঙ্কটের কথা জানায়। অনেকে দাবি করে, প্রাণবায়ুর অভাবে সঙ্কটজনক কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এর সূত্রে কেজরিওয়াল সরকার ও কেন্দ্রের মধ্যে বিতণ্ডা বাধে।
বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। ওই মাসগুলিতে দিল্লিতে অক্সিজেনের জোগান বৃদ্ধি করে কেন্দ্র। তার জেরে অন্যান্য রাজ্যের জোগান কমাতে হয়।
অডিট কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই সময়ে দিল্লির ৩০০ মেট্রিক টন করে অক্সিজেন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দিল্লি সরকার সেটাকে বাড়িতে ১২০০ মেট্রিক টন বলে দেখায়। যার জেরে ১২টি রাজ্যকে অক্সিজেনের প্রবল সঙ্কটে পড়তে হয়। কারণ তাদের জোগান কমিয়ে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছিল দিল্লিতে।
দিল্লি হাসপাতালে অক্সিজেনের হাহাকারের জেরে টাস্ক ফোর্স গড়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এম আর শাহের তৈরি ওই দলে ১২ জন সদস্য। তাঁদের কাছে অক্সিজেন বিলির পদ্ধতি নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়।
টাস্ক ফোর্স দেখে, গত ১৩ মে অনেক হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাঙ্কার খালি করা যায়নি। কারণ বহু হাসপাতালের ট্যাঙ্ক ৭৫ শতাংশের বেশি ভর্তি ছিল। এলএনজিপি, এইমসের মতো সরকারি হাসপাতালও ট্যাঙ্ক ভর্তির কথা জানায়।
টাস্ক ফোর্স আরও জানিয়েছে, ২৯ এপ্রিল থেকে ১০ মে-র মধ্যে দিল্লির (Delhi) অক্সিজেনের জোগান সংশোধন করতে হয়। কিছু হাসপাতালের ‘মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ’ রিপোর্টিংয়ের সূত্রেই তা করা। দিল্লি সরকারি দেখিয়েছিল, হাসপাতালগুলির আদত প্রয়োজন ১১৪০ মেট্রিক টন। সংশোধনের পর সেটাই দাঁড়ায় ২০৯ মেট্রিক টনে।
কী সুপারিশ করেছে টাস্ক ফোর্স? তারা স্থানীয় ভাবে অক্সিজেন তৈরিতে জোর দিয়েছে। বড় শহরগুলিতে পাড়ায় পাড়ায় অক্সিজেন তৈরির কথা বলেছে টাস্ক ফোর্স। যাতে অন্তত ৫০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়। দিল্লি, মুম্বইয়ে জনসংখ্যার নিরিখে এমন উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
টাস্ক ফোর্সের সুপারিশ — ১৮টি মেট্রো শহরেই অক্সিজেন তৈরি করতে হবে। যাতে শহরেই অন্তত ১০০ মেট্রিন টন মজুত রাখা যায়।
চাহিদার চার গুণ অক্সিজেন চেয়েছিল দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের টাস্ক ফোর্স

প্রতীকী চিত্র