Onlooker desk: সেই ২১ এপ্রিলের পর আজ, সোমবার। ভারতে দৈনিক সংক্রমণ নামল তিন লক্ষের নীচে। আজ একদিনে ২ লক্ষ ৮১ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু মৃত্যু কমছে না। রবিবার থেকে সোমবার সকাল আটটা — ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৪,১০৬ জন। রবিবার সংখ্যাটা ছিল ৪,০৭৭। গত ২৮ এপ্রিল থেকেই দেশে কোভিডে মৃত্যু তিন হাজারের নীচে নামেনি। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গিয়েছেন ২ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। কিন্তু তারপরেও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো থেকে ভ্যাকসিন, কোনও কিছুরই যথাযথ বন্দোবস্ত করা হয়নি বলে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি সামলাতে না-পারার অভিযোগে কেন্দ্রের তৈরি একটি বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ফোরাম থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রবীণ ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিল। করোনার নিত্যনতুন ভ্যারিয়ান্টের খোঁজ চালাতে তৈরি হয়েছিল ওই ফোরাম। তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনও কথা বলতে চাননি জামিল। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি কেবল জানিয়েছেন, ওই ফোরাম থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলবেন না। ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেরনোলজির সচিব রেণু স্বরূপ, যিনি ওই ফোরামের দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেনি কোনও সংবাদমাধ্যম।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি আর্টিকলে জামিল লিখেছিলেন — প্রমাণের ভিত্তিতে নীতি প্রণয়নে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের হোঁচট খেতে হচ্ছে। ভারতে টেস্টিং, ভ্যাকসিন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, সবকিছুর অপ্রতুলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন জামিল। এমনকী সঠিক তথ্য পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের দেওয়া হচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ। আর্টিকলে জামিল লিখেছিলেন — মানুষের প্রাণের এই মূল্য আমাদের স্থায়ী ক্ষত হয়ে থাকবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদক দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ পর্যন্ত ভারতের মাত্র ১৪.১৬ কোটি মানুষ টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন। টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ২.৯ শতাংশের (চার কোটির আশপাশে)।
সংক্রমণ নামল ৩ লক্ষের নীচে, মৃত্যু সেই চার হাজারে, ইস্তফা শীর্ষ ভাইরোলজিস্টের
