Onlooker desk: চাপ বাড়ানোতেই কি কাজ হলো?
ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাতটি ও ইউরোপের আরও দু’টি মিলিয়ে ন’টি দেশ কোভিশিল্ড গ্রহীতাদের প্রবেশে অধিকার দিল। এই ন’টি দেশ হলো অস্ট্রিয়া, জার্মানি, স্লোভেনিয়া, গ্রিস, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, এসটোনিয়া এবং সুইৎজারল্যান্ড।
সদস্য দেশগুলিতে প্রবেশে ছাড়পত্র দিতে ‘গ্রিন পাস’ চালু করছে ইইউ। সেই পাস পাওয়ার তালিকায় কোন কোন টিকার নাম রয়েছে, তা নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত।
ইইউ-এর সর্বোচ্চ মেডিক্যাল সংস্থা দ্য ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) চারটি টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। সেগুলি হলো ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ইউরোপে তৈরি টিকা। এই টিকা নিলে তবেই ইইউ-এর সদস্য দেশগুলিতে প্রবেশাধিকার মিলবে।
অথচ অ্যাস্ট্রাজেনেকারই ভারতে তৈরি টিকা কোভিশিল্ড সেই তালিকায় নেই। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকেও তালিকায় রাখেনি ইএমএ।
ইইউ অবশ্য জানিয়েছে, কোনও সদস্য দেশ চাইলে নিজেদের মতো করে টিকায় ছাড়পত্র দিতে পারে। কিন্তু তা না মিললে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন গ্রহীতাদেরও ইইউ দেশে গেলে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে।
বুধবার এর পাল্টা দেয় ভারত। এই পলিসি প্রত্যাহার করা না-হলে ইইউ সদস্য দেশের ক্ষেত্রেও কোয়ারান্টিন করা হবে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে এই খবর জানা যায়। কেউ ভারতে এলে সেখানকার বাসিন্দাদের থাকতে হবে কোয়ারান্টিনে।
সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা বুধবার এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি জানান, অ্যাস্ট্রাজেনেকার মাধ্যমে তাঁরা ছাড়পত্র আদায়ের চেষ্টা করছেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন মিলবে বলে তাঁর আশা।
সোমবার একটি টুইট করেন পুনাওয়ালা। তিনি লেখেন — যে ভারতীয়রা কোভিশিল্ড নিয়েছেন, ইইউ দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। আমি সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই। আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। দ্রুত এই বিষয়ের সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কূটনীতিক স্তরে আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও সক্রিয় হন। তিনি ইইউ-এর এক শীর্ষকর্তা জোসেপ বোরেল ফন্টেলেসের সঙ্গে কথা বলেন।
গত মাসে জি৭ সদস্য দেশগুলির একটি বৈঠক ছিল। সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের আলোচনায় ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’-এর বিরোধিতাই করেছিল ভারত।
বৈঠকের পর এ নিয়ে একটি টুইট করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি লেখেন — অতিমারীর এই পর্বে ভারতের ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিয়ে ভারতের উদ্বেগ ও বিরোধিতার কথা জানিয়েছি। উন্নত দেশগুলির তুলনায় উন্নয়নশীল দেশে টিকাকরণের হার অনেক কম। এই পরিস্থিতিতে এমন উদ্যোগ অত্যন্ত বৈষম্যমূলক হতে পারে।
অবশেষে ইউরোপের ন’টি দেশে ছাড়পত্র পেল কোভিশিল্ড

প্রতীকী চিত্র