Onlooker desk: রবিবারও গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজারের ঘরেই থাকল করোনায় মৃতের সংখ্যা। এ দিন সকালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, একদিনে সংক্রামিত হয়েছেন ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৭৩৮ জন। মৃতের সংখ্যা ৪,০৯২। পরপর দু’দিন কোভিডে মৃতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়াল। আর এক সপ্তাহে এই নিয়ে পাঁচ দিন সংক্রামিত হলেন ৪ লক্ষের বেশি মানুষ।
দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। বেহাল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় নাভিশ্বাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন বার্তায় ভারতের এই সমস্যা নজর কাড়ে গোটা বিশ্বের। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের জোগান নিশ্চিত করতে ১২ সদস্যের ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের প্রথম সারির বিশেষজ্ঞরা এই টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসাবে কাজ করবেন।
একটু আশার সঞ্চার ঘটিয়ে একটি অ্যান্টি-কোভিড ওষুধ তৈরি করেছে ডিআরডিও এবং তাকে ছাড়পত্রও দিয়েছে দেশের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসিজিআই। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, এই ওষুধে উপস্থিত একটি মলিকিউল হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেন নির্ভরতা কমায়।
পাশাপাশি, আমজনতার হেনস্থা কমাতে শনিবার কেন্দ্র জানিয়েছে, কোভিড হাসপাতালে ভর্তির জন্য পজিটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক নয়। কারও উপসর্গ থাকলে তাঁকে পরিষেবা দিতেই হবে। পরিস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত হতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবার মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ এবং হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করে কথা বলেন।
শনিবারই করোনার বলি হয়েছেন ১৯৮০ অলিম্পিকে স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত হকি টিমের দুই সদস্য রবীন্দ্র পাল সিং এবং মহারাজ কৃষান কৌশিক। বহু রাজ্য ইতিমধ্যেই লকডাউনের পথ ধরেছে। বিরোধী নেতারা দেশজোড়া লকডাউনের দাবি তুলেছেন। এবং এর মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে ফাঙ্গাল ইনফেকশনযুক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস নামে এই অসুখ ট্রান্সপ্লান্ট হওয়া মানুষদের প্রবল ক্ষতি করে।
শনির পরে রবিবারও কোভিডে একদিনে মৃত চার হাজারের বেশি
