Onlooker desk: অক্সিজেনের অভাবে এ সপ্তাহে ৭৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে গোয়ার সর্ববৃহৎ কোভিডচিকিৎসা কেন্দ্রে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এর মধ্যে গতকাল, বৃহস্পতিবার রাত দুটো থেকেআজ, শুক্রবার সকাল ছ’টার মধ্যে মারা গিয়েছেন ১৩ জন। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় ১৫ জনের, বুধবার২০ এবং মঙ্গলবার প্রাণবায়ুর অভাবে প্রাণ হারান ১৬ জন। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত মঙ্গলবারহাসপাতালে গিয়ে বলেছিলেন, ‘মেডিক্যাল অক্সিজেনের জোগান ও সরবরাহের জেরে কিছু সমস্যা হতেপারে।’ তবে রাজ্যে অক্সিজেনের কোনও অভাব নেই বলে তাঁর দাবি।
গোয়ায় করোনার পরিস্থিতি ভয়াবহ। হাসপাতালে কোনও শয্যা তো খালি নেই–ই। শেষ পর্যন্ত অনেককাঠখড় পুড়িয়ে যাঁরা ভর্তি হতে পেরেছেন, তাঁদের ঠাঁই হয়েছে মেঝেয়।
এক রোগীর আত্মীয় বলেন, ‘একটা হুইলচেয়ারের জন্য আমাদের আট ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।পরদিন ওঁর অক্সিজেনের মাত্রা ৫০–৬০ এ নেমে যায়। তখন ভেন্টিলেটর প্রয়োজন। কিন্তু কোথায় কী! একটা বেডও মেলেনি। মেঝেয় শুইয়ে রাখা হয়েছিল আমাদের রোগীকে।’
দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, কর্নাটক–সহ অন্য বহু রাজ্যের মতো কেন্দ্রের কাছে অক্সিজেন চেয়ে দরবারকরেছে গোয়াও। কিন্তু প্রাপ্যের তুলনায় অনেকটাই কম অক্সিজেন মিলছে বলে অভিযোগ। রাজ্যেরবিজেপি সরকার কেন্দ্রকে চিঠি লিখে আগামী এক সপ্তাহ দিনে অন্তত ২২ মেট্রিক টন করে অক্সিজেনচেয়েছে। বম্বে হাই কোর্টের গোয়া বেঞ্চ মহামারী সংক্রান্ত নানা মামলার শুনানি করছে। বৃহস্পতিবার তারাজানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাবের জন্য কোভিড রোগীদের মৃত্যুমুখে ঠেলেদেওয়া যায় না। এই পর্যবেক্ষণের আগের দিনই গোয়া আদালতে জানিয়েছিল, অক্সিজেন নিয়ে যাওয়ারজন্য প্রয়োজন গাড়ি চালক নেই। অথচ গোটা দেশের মধ্যে এই রাজ্যেই পজিটিভিটি রেট সবচেয়ে বেশি— ৪৮.১ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি দু’জনে একজন পজিটিভ।
শুক্রবারও ২৪ ঘণ্টায় ৩.৪৩ লক্ষ নতুন সংক্রমণের হদিস মিলেছে। মারা গিয়েছেন ৪০০০ দেশবাসী।করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘দার্শনিক দিক থেকে দেখতে গেলে, করোনাভাইরাসওএকটা জীবিত বস্তু। ওরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। কিন্তু মানুষ নিজেকে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণীভাবে। তাই আমরা একে নিকেশ করতে উঠেপড়ে লেগেছি। সেই কারণে এটি ক্রমাগত ভোল বদলেচলেছে।’ করোনার প্রতি এই ‘দার্শনিক’ দৃষ্টিভঙ্গি রেখেও অবশ্য সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শদিয়েছেন বিজেপির এই নেতা। তবে তাতে ট্রোলিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। টুইটারে একজনলেখেন — এই ভাইরাসটাকে সেন্ট্রাল ভিস্তা (প্রধানমন্ত্রীর নতুন আবাস)-এ আশ্রয় দেওয়া উচিত।