Onlooker desk: রবিবার প্রথম স্বচ্ছতা রিপোর্ট প্রকাশ করল টুইটার। ভারতের নতুন ডিজিটাল রুল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তাদের দ্বৈরথ অব্যাহত। সেই আইন কার্যকর হওয়ার এক মাস বাদে আইন মেনেই স্বচ্ছতা রিপোর্ট প্রকাশ করল টুইটার।
সেই সঙ্গেই নিয়ম মেনে একজন ভারতীয়কে অফিসার ফর গ্রিভ্যান্সেস রিড্রেসাল হিসাবে নিয়োগ দিল তারা। বিনয় প্রকাশ নামে ওই ব্যক্তিকে রেসিডেন্ট গ্রিভ্যান্স অফিসার হিসাবে নিয়োগের কথা ওয়েবসাইটে জানিয়েছে টুইটার। তাঁর ই-মেল আইডি দেওয়া হয়েছে।
মাসিক স্বচ্ছতা রিপোর্ট প্রকাশ করে টুইটার জানিয়েছে, আইনের সংস্থান অনুযায়ী প্রতি মাসে এমন রিপোর্ট সামনে আনা হবে। ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, তার প্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থা, কোন কোন ওয়েবসাইট এবং ইউআরএল-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে, সবই রয়েছে রিপোর্টে।
টুইটার জানিয়েছে — ভবিষ্যতে আমরা মাসিক ভিত্তিতে এমন রিপোর্ট প্রকাশ করব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও উন্নতির ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও দাবি করেছে টুইটার। এ ক্ষেত্রে সরকারের ফিডব্যাককেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই স্বচ্ছতা রিপোর্ট গত ২৬ মে থেকে ২৫ জুন পর্বের। সেখানে হেনস্থা, মানহানি, সন্ত্রাসবাদ, ভুয়ো পরিচয়-সহ নানা বিষয় রয়েছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ৩৭টি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ২০টিই মানহানির। মার্কিন সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ১৩২টি টুইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। ২২ হাজারেরও বেশি পোস্ট ফ্ল্যাগ করা হয়েছে।
নগ্নতা ও শিশুদের যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত ১৮ হাজারের বেশি টুইট ফ্ল্যাগ করেছে টুইটার। সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত ৪ হাজার পোস্টের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এর সঙ্গে একটি ‘ইনফরমেশন রিকোয়েস্ট’ও প্রকাশ করা হয়েছে। তার মধ্যে সরকারি তরফের ইনফরমেশন রিকোয়েস্ট এবং তাতে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য রয়েছে।
দেশের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বিরোধিতায় দীর্ঘদিন সরকারের সঙ্গে টক্কর দিয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। তাদের দাবি, নতুন আইনটি সংবিধান-বিরোধী। গ্রিভ্যান্স ও রিড্রেসালের জন্য ভারতীয় নাগরিকদের নিয়োগের নতুন আইন হয়েছে। এই নিয়ম-সহ নতুন আইন না-মানায় আইনি রক্ষাকবচও হারিয়েছে টুইটার। যার জেরে ব্যবহারকারীদের টুইটের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সংস্থান তৈরি হয়েছে। গাজিয়াবাদের একটি ঘটনার সূত্রে পুলিশে তাদের নামে এফআইআর-ও হয়েছে।
নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে গত ২৬ মে। টুইটার, ফেসবুকের মতো বৃহৎ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে প্রতি মাসে এ রকম রিপোর্ট প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে আইনে। অভিযোগ ও তার প্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থার বিস্তারিত তথ্য রাখতে হবে রিপোর্টে।
গত ২ জুলাই ফেসবুক একটি তথ্য প্রকাশ করে। তারা ৩০ মিলিয়ন পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানায়। ১৫ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গুগল জানিয়েছে, এপ্রিলে তারা ৫৯ হাজার ৩৫০টি লিঙ্ক ‘রিমুভ’ করেছে।
নগ্নতা ও শিশু যৌন হেনস্থার ১৮ হাজার পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, স্বচ্ছতা রিপোর্টে জানাল টুইটার
