Onlooker desk: কিছুদিন ধরে নানা জল্পনা চলছিল।
এরই মধ্যে শিব সেনা ‘কোনও দিন শত্রু ছিল না’ বলে তাতে ঘি দিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীশ। অথচ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকারের বিরুদ্ধে সব সময়ই সরব থেকেছেন দেবেন্দ্র। সামান্য এদিক থেকে ওদিক হলেই অন্যতম কড়া সমালোচনাটি ধেয়ে এসেছে তাঁর দিক থেকেই।
তা হলে কি প্রাক্তন দুই জোটসঙ্গী ফের এক হতে চলেছে? পরিস্থিতি বিচার করে এ ব্যাপারে ‘যথাযথ সিদ্ধান্ত’ হবে বলে দেবেন্দ্র জানান।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা (সেনা ও বিজেপি) কোনও দিনই শত্রু ছিলাম না। ওরা আমাদের বন্ধু ছিল। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে ওদের লড়াই, তাদের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে আমাদের ছেড়ে গেল।’ দেবেন্দ্রর সংযোজন, ‘রাজনীতিতে যদি-কিন্তুর জায়গা নেই।’
অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক বৈঠক ও সেনার সঙ্গে ফের একত্রে পথচলার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে এ কথা বলেন তিনি।
এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় একাধিক সংস্থা নানা পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। শিব সেনা এবং এনসিপি, দু’দলেরই অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে তিন দলের জোট সরকারের ভারসাম্য নষ্ট করতে কেন্দ্রীয় নানা সংস্থাকে অপব্যবহার করা হচ্ছে। মাঝে কংগ্রেসের কিছু মন্তব্য ঘিরেও প্রশ্ন তৈরি হয়। পরে অবশ্য তারা জানায়, আগামী পাঁচ বছর উদ্ধব ঠাকরে সরকারের সঙ্গেই রয়েছে।
সম্প্রতি এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেন। সে দিনই উদ্ধবের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য-সহ তিন নেতা।
গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন উদ্ধব। শিব সেনা সেটিকে ব্যক্তিগত বৈঠক বলে দাবি করে। রাজনৈতিক সম্পর্কের ঊর্ধ্বে উঠে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে তারা মূল্য দেয় বলে জানিয়েছিল সেনা।
বিজেপির সঙ্গে একত্রে পথচলার জল্পনা ওড়াতে শনিবার একটি টুইটও করেন শিব সেনার নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি লেখেন — এমন গুজব যত ছড়াবে, মহারাষ্ট্রের জোট ততই শক্তিশালী হবে।
সঞ্জয় রাউত সম্প্রতি বিজেপি নেতা আশিস শেলারের সঙ্গে দেখা করেন। তা নিয়েও স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে। এ প্রসঙ্গে রাউত বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ভাবধারা ও আদর্শগত ফারাক থাকতে পারে। কিন্তু কোনও অনুষ্ঠানে মুখোমুখি পড়ে গেলে আন্তরিক ভাবেই একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাব। আমি তো আশিস শেলারের সঙ্গে প্রকাশ্যে কফিও খেয়েছি।’
‘সেনা কোনও দিনই শত্রু ছিল না’: নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত ফডনবীশের?
