Onlooker desk: একদিন আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল সে। তার পরদিন এনকাউন্টারে মৃত্যু হলো লস্কর ই তৈবার (Lashkar e Taiba) অন্যতম কম্যান্ডার নাদিম আব্রারের। এক পাকিস্তানি নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) পারিমপোরা চেক পয়েন্টে এই এনকাউন্টার হয়। আজ, মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আব্রারের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ ছিল। সোমবার পারিমপোরায় (Parimpora) চেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে সে। তারপরে তাকে লাগাতার জেরা করছিলেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশের এক মুখপাত্রের দাবি, মালুরা এলাকায় সে তার একে-৪৭ রাইফেল লুকিয়ে রেখেছিল। পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে লোকানো রাইফেলের হদিস দেয় সে।
জঙ্গিরা হাইওয়েতে হামলা চালানোর ছক করছে বলে খবর ছিল পুলিশের কাছে। তাতে নজরদারি বাড়ায় পুলিশ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফের কিছু জয়েন্ট চেক পোস্ট করা হয় হাইওয়ে বরাবর।
সেই সূত্রেই পারিমপোরায় আব্রারদের ধরা হয়। ওই মুখপাত্র বলেন, ‘চেকপোস্টে একটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে চালকের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। তখন পিছনের আসনে বসা ব্যক্তি একটি ব্যাগ খুলে গ্রেনেড বের করার চেষ্টা করে। পুলিশ অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে তাকে ধরে ফেলে। চালক ও ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়। মাস্ক খোলার পর বোঝা যায়, সে মাদিম আব্রার। লস্করের অন্যতম বড় কম্যান্ডার।’
ওই মুখপাত্রের দাবি, আব্রারের কাছ থেকে পিস্তল ও কিছু হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে।
এর পরে শুরু হয় জেরা। সেখানে একে-৪৭ (AK-47 rifle) এর খোঁজ দেয় সে। যার সূত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পৌঁছনো হয়। সন্দেহভাজনের বাড়ি কর্ডন করে উদ্ধার করা হয় রাইফেলটি। এখানেই শেষ নয়। মুখপাত্রের আরও দাবি, তদন্তকারী দল ওই বাড়িতে প্রবেশের সময় নতুন ঝামেলা। আব্রারের এক সঙ্গী তাঁদের উপরে গুলিবর্ষণ শুরু করে বলে অভিযোগ। এই সঙ্গী পাকিস্তানি নাগরিক বলে মুখপাত্রের বক্তব্য।
প্রথম রাউন্ডে তিন জন সিআরপিএফ জওয়ান আহত হন। তাঁদের সঙ্গে থাকা আব্রারও আহত হয়। এরপরে আরও বাহিনী পৌঁছয় ওই এলাকায়। প্রবল গুলিবর্ষণ শুরু হয়। মুখপাত্রের কথায়, ‘ওই পাকিস্তানি জঙ্গি (terrorist) বাড়িটির ভিতর থেকে গুলি চালাচ্ছিল। বাহিনীর পাল্টা গুলিতে সে নিকেশ হয়। আব্রারও এর মধ্যে পড়েই মারা গিয়েছে। অন্যান্য অস্ত্রের পাশাপাশি দু’টি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে।’
সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ ক’জন জওয়ান মারা গিয়েছেন। তাঁদের হত্যার পিছনে আব্রারের হাত ছিল বলে অভিযোগ।
ধরা পড়ার পরদিনই এনকাউন্টারে খতম লস্কর কম্যান্ডার ও তার সঙ্গী পাক সন্ত্রাসবাদী, দাবি পুলিশের

এই বাড়িতেই একে-৪৭ লুকিয়ে রেখেছিল নাদিম (ডানদিকে)