Onlooker desk: উত্তর কোরিয়ার সর্বেসর্বা নেতা কিম জং উন ৪৪ পাউন্ড ওজন ঝরিয়েছেন। তবে তাঁর কোনও অসুস্থতা নেই। নেতা সুস্থই রয়েছেন। একটি গুপ্তচর সংস্থা মারফত খবর পেয়ে এ কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জন প্রতিনিধি কিম বায়িং কি।
দ্য ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের হিসাব অনুযায়ী, কিম ১০ থেকে ১২ কিলো বা ৪৪ পাউন্ড ওজন ঝরিয়েছেন।
বায়িং কি বলেন, ‘কিমের শারীরিক অসুস্থতা থাকলে যে ক্লিনিকে তাঁর চিকিৎসা চলে, সেখানে ওষুধপত্র আনা হতো। কিন্তু তেমন কিছু দেখা যায়নি। একনায়ক নেতা এখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বৈঠক করেন। এবং তাঁর হাঁটাচলাতেও কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যাচ্ছে না বলে বায়িং কি জানান।
মে মাস জুড়ে সে ভাবে জনসমক্ষে দেখা যায়নি উত্তর কোরিয়ার প্রধানকে। জুনে তাঁর একটি সরকারি বৈঠকের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে কিমকে আগের তুলনায় অনেক রোগা দেখাচ্ছিল। পরে সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, নেতাকে রোগা হয়ে যেতে দেখে নাকি উত্তর কোরিয়া কেঁদে ভাসিয়েছে।
গুপ্তচর সংস্থাগুলি কিমের ওজনের দিকে নজর রাখে। কারণ পিয়ংইয়ং পুরোপুরি গোপনীয়তা ও একনায়কতন্ত্রের ভিত্তিতে চলে। তা ছাড়া কিমের পরিবারের হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে। তাই এই নজরদারি। গত নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয় গুপ্তচররা জন প্রতিনিধিদের জানিয়েছিলেন, কিমের ওজন প্রায় ১৪০ কিলোগ্রাম।
এরই মধ্যে আবার দক্ষিণ কোরিয়ার আর এক জন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কিম যে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। হা তে কিউং নামে ওই প্রতিনিধি জানান, ১২ দিন ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাটমিক এনার্জি রিসার্চ ইনস্টিটিউট হ্যাক করার চেষ্টা হয়। তবে জরুরি কোনও তথ্য বাইরে বেরোয়নি।
জুনের ৭ তারিখ নাগাদ ন্যাশনাল ফিউশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটও হ্যাক করার চেষ্টা হয়। এই দুই প্রতিষ্ঠানই দক্ষিণ কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তি গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কিমের নেতৃত্বে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে উত্তর কোরিয়া। তাদের লক্ষ্য দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও আমেরিকা। এ নিয়ে কড় অবস্থানে আমেরিকাও। পিয়ংইয়ংকে শায়েস্তা করতে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের উপরে চাপ তৈরি করবে ওয়াশিংটন। উত্তর কোরিয়ায় ইউএসএ-র বিশেষ প্রতিনিধি সাং কিম গত মাসেই এ কথা জানিয়েছেন। কারণ উত্তর কোরিয়ার ছোড়া অস্ত্রে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
উত্তর কোরিয়া ও চিনের মোট বাণিজ্য অনেকখানি কমেছে বলেও সাং জানান। ২০২১-এর প্রথম পাঁচ মাসে তা গত বছর একই সময়ের সঙ্গে তুলনায় ৮১ শতাংশ কমেছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চিন সীমান্তে কড়াকড়ি, অতিমারী পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সব মিলিয়ে কিমের দেশের অর্থনীতির শোচনীয় হাল। ২০২০-তে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সঙ্কোচন হয় পিয়ংইয়ংয়ের অর্থনীতির।
৪৪ পাউন্ড ওজন ঝরিয়ে এখন বেশ ‘রোগা’ কিম জং উন
