Onlooker desk: আরও একটি এফআইআরে নাম জড়াল টুইটার ইন্ডিয়ার প্রধান মণীশ মাহেশ্বরীর। এ বার ভুল মানচিত্র পোস্টের সূত্রে। ভারতের ওই মানচিত্রে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরকে দেশের অংশ হিসাবে দেখানো হয়নি। রবিবার শোরগোল ফেলে তা। পরে মানচিত্রটি সরিয়ে নেয় টুইটার।
এমনিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে টুইটারের (Twitter) বিবাদ চরমে। এ মাসে গাজিয়াবাদের এক মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনা সংক্রান্ত পোস্ট নিয়ে প্রথম এফআইআর-টি হয়। এ বার দায়ের হলো দ্বিতীয় অভিযোগ।
মানচিত্র নিয়ে এফআইআর দায়ের করেছেন বজরং দলের নেতা প্রবীণ ভাটি। সেখানে একে ‘দেশদ্রোহিতা’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজ করা হয়েছে। এ জন্য শাস্তি হওয়া দরকার।
অমৃতা ত্রিপাঠী নামে আরও একজনের নাম রাখা হয়েছে এফআইআরে। উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে দায়ের হয়েছে এফআইআর-টি। তিনি টুইটারের কর্মী। অভিযোগ দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টা বাদে এ ব্যাপারে নিজের ভূমিকা ব্যাখা করেন অমৃতা। তিনি জানান, ক’দিন হলো ছুটিতে আছেন। তাঁর শরীরও খারাপ।
গত সপ্তাহে গাজিয়াবাদ পুলিশ মাহেশ্বরীকে সশরীর হাজিরার নির্দেশ দেয়। ধর্মের কারণে তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক মুসলিম বৃদ্ধ। সে সংক্রান্ত বেশ কিছু পোস্ট হয়। পুলিশের দাবি, ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে নকল তাবিজ বিক্রির অভিযোগ। তাই একদল তরুণ তাঁকে মারধর করে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই। বৃদ্ধ ও তাঁর পরিবার এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
কিন্তু ওই পোস্টগুলি ঘিরে পুলিশের আপত্তি। তাদের অভিযোগ, এ ভাবে ধর্মীয় হিংসা-দ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। বলা সত্ত্বেও টুইটার সময়মতো সেগুলি সরায়নি। মণীশ ছাড়াও বেশ ক’জন সাংবাদিক ও কংগ্রেসের নেতাদের নাম রাখা হয় এফআইআরে। নাম ওঠে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’-এরও।
গত সপ্তাহে সশরীর হাজিরা থেকে মাহেশ্বরীকে সাময়িক স্বস্তি দেয় কর্নাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court)। তারা ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়। মাহেশ্বরীকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলেও জানায়। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) গিয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।
সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মাহেশ্বরীও (Manish Maheshwari)। তিনি একটি ক্যাভিয়েট ফাইল করেছেন। উত্তর প্রদেশ পুলিশের আপিলের ভিত্তিতে অর্ডার দেওয়ার আগে তাঁর কথা শোনা হোক। এটাই আবেদন মাহেশ্বরীর।
গত কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে বিবাদ চলছে টুইটারের। কেন্দ্রের নতুন নিয়ম তারা মানছে না বলে অভিযোগ। গ্রিভ্যান্স অফিসার হিসাবে যাঁকে নিয়োগ করা হয়, তাঁর নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্র। ধর্মেন্দ্র চতুর নামে সেই অফিসার রবিবার ইস্তফা দেন।
তাঁর জায়গায় জেরেমি কেসেলকে নিয়োগ করেছে টুইটার। তিনি মূলত আমেরিকায় কাজ করেন। কেসেল টুইটারের গ্লোবাল লিগ্যাল পলিসি ডিরেক্টর। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এই পদে কোনও ভারতীয়কেই নিয়োগ করতে হবে।
ইতিমধ্যে কংগ্রেসের একটি টুলকিট বিতর্কে বিজেপি নেতাদের টুইটের সূত্রেও গোলমাল বাধে। দিল্লি ও গুরুগ্রামে টুইটারের অফিসে পর্যন্ত হানা দেয় পুলিশ।
ভুল মানচিত্র নিয়েও এফআইআর টুইটার ইন্ডিয়ার প্রধানের বিরুদ্ধে, অন্য মামলায় গ্রেপ্তারি ঘিরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
