কলকাতা: পূর্বাভাস ছিলই। সেই মতো গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলো ইয়াস। এরপরে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে থাকবে তা। আজ, সোমবার রাত থেকে শক্তি বাড়বে তার। কাল ভারী বৃষ্টিপাত এবং বুধবার সন্ধ্যায় ওডিশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি এলাকায় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার কথা ইয়াসের। সেই সময় ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটারেরও বেশি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। আপাতত দিঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে আছে ঘূর্ণিঝড়টি।
গত বছর ২০ মে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছিল উম্পুন। কলকাতাতেও বহু গাছ উপড়ে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল শহরের অনেক এলাকায়। এ বার তাই আগাম সতর্ক প্রশাসন। নাগরিকদের জন একগুচ্ছ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুজবে কান না দিয়ে সংবাদমাধ্যমে পরিবেশিত খবর ও প্রশাসনের সতর্কবার্তায় ভরসা রাখতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া মোবাইল ফোন, পাওয়ার ব্যাঙ্কগুলিকে আগে থেকে চার্জ দিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। ভেঙে পড়া বৈদ্যুতিক স্তম্ভ, লুটিয়ে পড়া তার এবং রাস্তায় পড়ে থাকা ধারালো কোনও বস্তু থেকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। অত্যাবশ্যক সামগ্রী, খাবার, ওষুধ, জলও পর্যাপ্ত মজুত রাখতে বলা হয়েছে।
পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া, প্রয়োজনীয় নথি নিরাপদে রাখা ছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চালু হয়েছে হেল্পলাইন। রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর দু’টি হেল্পলাইন চালু করেছে — ৮৯০০৭৯৩৫০৩ এবং ৮৯০০৭৯৩৫০৪। কাল, মঙ্গলবার হেল্পলাইন দু’টি চালু হওয়ার কথা। সে দিন থেকেই কন্ট্রোল রুমে থাকবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিদ্যুৎ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এস সুরেশকুমার ও বিদ্যুৎ বণ্টন বিভাগের সিএমডি-রা।
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলো ইয়াস, সতর্ক প্রশাসন
