মেদিনীপুর: করোনার জেরে কড়াকড়ি, বিধিনিষেধের মধ্যে সকাল সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত খোলা বাজার। বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ খেজুরির বিদ্যাপীঠ বাসস্ট্যান্ড মোড়ে তখন লোকজন ভালোই। এরই মধ্যে এক মহিলার চিৎকার কানে আসে পথচলতি মানুষের। ‘ও বলেছিল, মা রান্না করো। এ বার আর জ্বালাবে না। আমি ওর মাথা কেটে দিয়েছি। মাথা কেটে বেশ করেছি। আমার মেয়ের মাথা আমি কেটে দিয়েছি।’ আশপাশের মানুষ গিয়ে দেখেন, বিছানার উপরে পড়ে রয়েছে ন’বছরের মেয়ের রক্তাক্ত দেহ। মাথা ধড় থেকে আলাদা। ধারালো বঁটি দিয়ে ওই মহিলাই নিজের মেয়ের মাথা কেটেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অঘটনা জানাজানি হতে প্রচুর লোক জমে যায় এলাকায়। খেজুরি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সাগরিকা পাত্র নামে ওই মহিলাকে আটক করা হয়েছে। মৃত শিশুটির মানসিক সমস্যা ছিল। সাগরিকারও মানসিক ভারসাম্য নেই বলে এলাকাবাসীর দাবি। তবে ঠিক কী কারণে শিশুটিকে এমন নৃশংস ভাবে মারা হলো, সেটা পরিষ্কার নয়।
খেজুরির পূর্ব ভাঙনমারি গ্রামের বিশ্বজিৎ পাত্র পেশায় মেক্যানিক। বিদ্যাপীঠ বাসস্ট্যান্ডে একটি দোকান আছে তাঁর। তার পাশে ছোট ঘরে স্ত্রী সাগরিকা ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন বিশ্বজিৎ। এ দিন যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন তিনি বাড়ি ছিলেন না। বাজারে গিয়েছিলেন। তারই মধ্যে এমন একটা কাণ্ড ঘটে যাবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি। মানসিক অবসাদ থেকেই সাগরিকা এমন একটা কাজ করলেন কি না, পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
‘আমার মেয়ের মাথা আমি কেটেছি’, ভরা বাজারে মহিলার স্বীকারোক্তিতে চাঞ্চল্য খেজুরিতে
